অজান্তেই ‘মৃত্যু’ নিয়ে ছেলেখেলা করলেন পর্যটক। ছুটি কাটাতে গিয়ে সাক্ষাৎ মৃত্যুকে স্পর্শ করে ফিরে এলেন এক ব্রিটিশ পর্যটক। ফিলিপিন্সের সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে গিয়ে খালি হাতে এমন একটি সামুদ্রিক প্রাণীকে স্পর্শ করেছিলেন যা প্রাণঘাতী হতে পারত। বরাতজোরে মৃত্যুকে ফাঁকি দিতে পেরেছেন তিনি। তিনি একাই নন। না জেনেশুনেই স্থানীয় শিশুরাও সমুদ্রসৈকতে একটি ছোট অক্টোপাসকে ধরে তাকে বার বার জলে তুলে ফেলছিল। সেই ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করছিলেন ওই পর্যটক। সেই ভিডিয়োটিই সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এনে ঘটনাটি তুলে ধরেন তিনি। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়োটি। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে অন্য একটি সামুদ্রিক প্রাণীর দেহের খোলের মধ্যে একটি নীলচে রঙের ছোট্ট অক্টোপাসকে ধরে খেলা করে বেড়াচ্ছে কয়েক জন নাবালক-নাবালিকা। ওই ব্রিটিশ ব্যক্তিও খালি হাতে অক্টোপাসটিকে তুলে নেন। বিপদ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ব্রিটিশ পর্যটক সেটি নিয়ে খেলা করেন। সেটিকে ধরে জলের মধ্যে ছেড়ে দেন। পরে তিনি জানতে পারেন অক্টোপাসের এই প্রজাতিটি বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে একটি। এর বিষে টেট্রোডোটক্সিন রয়েছে। এটি একটি শক্তিশালী নিউরোটক্সিন যা পক্ষাঘাত সৃষ্টি করতে পারে। ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-এর মতে, নীল অক্টোপাসের বিষ মানুষের জন্য সায়ানাইডের চেয়ে প্রায় হাজার গুণ বেশি মারাত্মক। এমনকি এর একটি কামড়ও মারাত্মক হতে পারে। এর কোনও প্রতিষেধক এখনও পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি।
ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করার পর ভিডিয়োটি দেখে আঁতকে উঠেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। যাঁরা এই প্রাণীটির সম্পর্কে জানেন তাঁরা পর্যটককে সাবধান করে দিয়েছেন। নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীরা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পর্যটকের আচরণকে বেপরোয়া বলে মন্তব্য করেছেন।