E-Paper

মশারির জাল পুড়িয়ে প্রতিবাদে মৎস্যজীবীরা

এদিন সকালে দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের উদ্যোগে 'জাল যার, জল তার' স্লোগানকে সামনে রেখে ধ্বংসাত্মক মৎস্য শিকার বন্ধের দাবিতে এক নৌকা র‍্যালির আয়োজন করা হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:২০
চাকদহে মশারীর জাল পুড়িয়ে প্রতিবাদ। ২৮ডিসেম্বর ২০২৩।

চাকদহে মশারীর জাল পুড়িয়ে প্রতিবাদ। ২৮ডিসেম্বর ২০২৩। ছবি সৌমিত্র সিকদার।

মাছ ধরতে যাওয়ার সময় মশারি জাল ছিনিয়ে নিয়ে পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানালেন মৎস্যজীবীরা। বৃহস্পতিবার সকালে চাকদহ থানার চান্দুরিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রানিনগর এলাকায় ভাগীরথী নদীর ধারে মশারির জাল নিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছিল কয়েকজন যুবক। মৎস্যজীবীরা দেখতে পেয়ে প্রতিবাদ জানায়। ওই যুবকেরা চিৎকার করলে লোকজন জড়ো হয়। উত্তেজিত মৎস্যজীবীরা সেই জাল পুড়িয়ে দেয়। বেগতিক বুঝে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই যুবকেরা

এদিন সকালে দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের উদ্যোগে 'জাল যার, জল তার' স্লোগানকে সামনে রেখে ধ্বংসাত্মক মৎস্য শিকার বন্ধের দাবিতে এক নৌকা র‍্যালির আয়োজন করা হয়েছিল। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মৎস্যজীবী এবং তাঁদের পরিবারের লোকেরা র‍্যালিতে যোগ দেওয়ার জন্য নদীর পাড়ে হাজির হন। সেখানেই তাঁদের চোখে পড়ে মশারির জাল দিয়ে মাছ ধরতে যাচ্ছে কয়েকজন। ওই মৎস্যজীবী সংগঠনের জেলা সম্পাদক তথা পরিবেশ কর্মী বিবর্তন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মশারির জাল দিয়ে মাছ ধরলে ছোট মাছ ধরা পড়ে। তাতে আগামীতে মাছ পাওয়া যাবে না। এতে মৎস্যজীবীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। যারা এই জাল দিয়ে মাছ ধরবে, তারা মৎস্যজীবীদের শত্রু। সেই শত্রুর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে। এদের মৎস্যজীবী বলে আমরা মনে করি না।’’ ঘটনার সময় নদীর পাড়ে হাজির ছিলেন চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক কুমার মণ্ডল, চাকদহ ব্লকের মৎস্য আধিকারিক প্রদীপ রায়। তাঁরা বলেন, ‘‘মৎস্যজীবীদের ক্ষতি হয় এমন কোনও কাজ সমর্থন করা যাবে না। যারা এমন করছে তাদের প্রথমে এধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার আবেদন জানানো হবে। তাতে কাজ না হলে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এদিন সাড়ে এগারোটা নাগাদ র‍্যালি শুরু হয়। মশারির জাল ব্যবহার করে,জলে বিষ তেল দিয়ে মাছ না ধরার জন্য আবেদন জানানো হয়। এর পরেও নিষেধ না শুনে যারা মশারির জাল দিয়ে মাছ ধরবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংগঠনের তরফে সতর্ক করা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Chakdaha

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy