Advertisement
E-Paper

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার পাঁচ

পুলিশ জানায়, মূল অভিযুক্তের নাম সুজিত রায়। ধর্ষণে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে তার তিন বন্ধু  দ্বীপ বেধ, সৌরভ সরকার ও তার ভাই গৌরব সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৩
অভিযোগ, সৌরভদের বাড়িতে মেয়েটির পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

অভিযোগ, সৌরভদের বাড়িতে মেয়েটির পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক কিশোরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধর্ষণে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে আরও তিন কিশোর এবং তাদের এক জনের মা।

পুলিশ জানায়, মূল অভিযুক্তের নাম সুজিত রায়। ধর্ষণে সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে তার তিন বন্ধু দ্বীপ বেধ, সৌরভ সরকার ও তার ভাই গৌরব সরকার। তারা সকলেই নাবালক। একই অভিযোগে সৌরভের মা সাগরিকা সরকারকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার রাতে রানাঘাট থানার হবিবপুর এলাকায় সৌরভদের বাড়ি থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার তাদের রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হলে সুজিতকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে এবং বাকিদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির বাড়ি রানাঘাট থানারই রাঘবপুর ভাঙালাইন এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার রাতে সে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে পিরতলায় সরস্বতী পুজোর মেলা দেখতে গিয়েছিল। সেখানেই সুজিতের সঙ্গে তার দেখা হয়। সুজিতের সঙ্গে ছিল দ্বীপ। তারা মেয়েটিকে নিয়ে মেলা থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জমিদার কলোনিতে সৌরভদের বাড়িতে যায়।

মেয়ে বাড়ি না ফেরায় কিশোরীর বাড়ির লোকজন আশপাশের বাড়িতে খোঁজখবর করেন। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। তাঁদের অভিযোগ, সৌরভদের বাড়িতে মেয়েটির পানীয়ের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে অসুস্থ বোধ করতে থাকে। তাই তাকে শুতে দেওয়া হয়। রাতে সুজিত তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

কিশোরীর বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি বলেন, “রাতে আমি বাড়ি ফিরে শুনি, মেয়ে মেলায় গিয়েছিল। সেখান থেকে ফেরেনি।’’ তাঁর স্ত্রী ও অন্য আত্মীয়েরা তাকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়েছিলেন। তিনিও বেরিয়ে পড়েন। কিন্তু খোঁজ মেলেনি। তাঁর কথায়, ‘‘ভেবেছিলাম, রাতে ওকে না পেলে পরের দিন পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব। পরের দিন শুনি, একটি ছেলের বাড়িতে আমার মেয়ে রয়েছে। সেখানে গিয়ে ওকে নিয়ে আসি। তার পর মেয়ের মুখে সব শুনে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।” তাঁ দাবি, “আমি ওই ছেলেগুলোকে চিনি না।”

ধৃত সাগরিকা অবশ্য দাবি করছেন, কী করে কী ঘটেছে, তা তাঁর জানা নেই। তিনি জানান, তাদের একটিই ঘর। সেই ঘরের খাটে মেয়েটিকে এবং মেঝেতে ছেলেদের শুতে দিয়েছিলেন। তার পরে কী ঘটেছে, তিনি জানেন না। তাঁর দাবি, ‘‘মেয়েটিকে বাড়িতে দিয়ে আসতে বলেছিলাম ছেলেদের। কিন্তু মেয়েটি যেতে রাজি হয় নি। বাধ্য হয়েই আমার বাড়িতে ওদের শোয়ার ব্যবস্থা করি।’’ পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Crime Rape Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy