Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

বাড়ি থেকে পালিয়ে উদ্ধার

পুলিশের ভূমিকায় খুশি ওই চার কিশোরের পরিবার। পলাশিপাড়া থানায় ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছে নিখোঁজ কিশোরদের পরিবার।

সোমবার স্কুল থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় এই চার কিশোর। নিজস্ব চিত্র

সোমবার স্কুল থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় এই চার কিশোর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
পলাশিপাড়া  শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৯ ০০:২৫
Share: Save:

পলাশিপাড়ার পাঁচদাড়া নামক গ্রামে সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিল চার কিশোর। শেষ পর্যন্ত পলাশিপাড়া থানার তৎপরতায় ওই নিখোঁজ ৪ কিশোরকে উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে উদ্ধার করে এনে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। স্বভাবতই পুলিশের ভূমিকায় খুশি ওই চার কিশোরের পরিবার। পলাশিপাড়া থানায় ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছে নিখোঁজ কিশোরদের পরিবার।

সোমবার স্কুল থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় রণজিৎ মণ্ডল (১৩), সৌমজিৎ মণ্ডল (১৩), রোহন মণ্ডল (১৩) ও মৃন্ময় মিস্ত্রি (১৪)। প্রত্যেকেই পলাশিপাড়ার মহাত্মা গাঁধী স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ছাত্র। হঠাৎ করে এই চার কিশোর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় তৈরি হয়েছিল রহস্য।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চার কিশোর স্কুলে যাওয়ার নাম করে নিজেরাই পালিয়েছিল। পরে তাদের পরিবার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। নিখোঁজ চার কিশোরকে ফিরিয়ে এনে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ওই চার কিশোর পলাশিপাড়ায় নিজেদের বাড়ি ফেরে।

উত্তরপ্রদেশের কানপুরে রেল পুলিশ তাদের ট্রেন থেকেই পাকড়াও করে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। ওই চার কিশোরের দাবি— পড়াশোনা ভাল লাগে না। তাই কিছু দিন আগে চার জন মিলে আলোচনা করে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। এই উদ্দেশ্যেই বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে কাউকে কিছু না বলে তারা চার বন্ধু প্রথমে পলাশি স্টেশন যায়। সেখান থেকে শিয়ালদহ। এর পর মোবাইলে ম্যাপ দেখে কানপুর জায়গাটি পছন্দ হলে টিকিট কেটে সেখানে যাওয়া হয়।

এক কিশোরের আক্ষেপ, ‘‘কিন্তু কানপুরের রেল পুলিশ আমাদের ট্রেন থেকেই ধরে নিল। একটা ঘরে নিয়ে গিয়ে বন্দি করে রাখল।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, চার জনই চঞ্চল ও দুরন্ত ছিল। পড়াশোনার প্রতি অনীহা ছিল। ওই চার কিশোরের এক বন্ধুর দাদা খুব অল্প বয়সেই বাইরে কাজ করতে চলে যায়। পয়সা রোজগার করে নিজের ইচ্ছেমতো মোবাইল, জামাকাপড় কিনত। এটা দেখে ওই চার কিশোরও সম্ভবত ভেবে নিয়েছিল, বাইরে গিয়ে টাকা উপার্জন করতে হবে। স্থানীয়দের সন্দেহ, হয়তো এই কারণেই ওই চার কিশোর পরিকল্পনা মাফিক বাড়ি থেকে পালায়।

নিখোঁজ সৌমজিতের বাবা কাশীনাথ মণ্ডল এ দিন বলেন, ‘‘ফোন করে পলাশিপাড়া থানায় ধন্যবাদ জানিয়েছি। সবে ছেলে বাড়ি এসেছে। পরে থানায় গিয়ে আরও এক বার ধন্যবাদ জানাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Teenage Boy UP Palshipara
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE