Advertisement
E-Paper

সরকারি বাগানের ফল বেচতে গিয়ে ধরা পড়লেন কর্তা

নিলাম ছাড়াই বেআইনি ভাবে বনদফতরের বাগান থেকে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ফল। এই অভিযোগ তুলে রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাপড়ার দইয়ের বাজারে মহতপুর বিট অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৬ ০১:০৩
এডিএফও ও রেঞ্জারকে ঘিরে বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র

এডিএফও ও রেঞ্জারকে ঘিরে বিক্ষোভ। — নিজস্ব চিত্র

নিলাম ছাড়াই বেআইনি ভাবে বনদফতরের বাগান থেকে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ফল। এই অভিযোগ তুলে রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাপড়ার দইয়ের বাজারে মহতপুর বিট অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা।

তাঁদের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে বনদফতরের মহতপুরের বিট অফিসার ও বন দফতরের কিছু কর্মী বেআইনি ভাবে আম, লিচু, সবেদা বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ দিন সকালে জানতে পারার পর আমরা তাঁদের ঘিরে রেখে বনদফতরকে খবর দিই। এ দিকে ঘটনার খবর পেয়ে এ দিন দুপুরে বনদফতরের নদিয়া-মুর্শিদাবাদ ডিভিশনের এডিএফও মৃণালকান্তি রায়, বনদফতরের কৃষ্ণনগরের রেঞ্জ অফিসার অমলেন্দু রায় প্রমুখ দইয়ের বাজারে বিট অফিসে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিতেই বাসিন্দারা বিক্ষোভ তুলে নেন। পরে তাঁরা বন দফতরের কর্তাদের কাছে বিট অফিসারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। অভিযুক্ত উদয়শঙ্কর কর্মকার অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি। এ দিন এডিএফও জানান, “বিট অফিসারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তাঁর বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাপড়ার দইয়ের বাজারে বনদফতরের প্রায় তিন হেক্টর জমিতে আম, লিচু, সবেদা-সহ অন্যান্য ফলের বাগান রয়েছে। ওই বাগানের ফল বিক্রির জন্য এখনও পর্যন্ত নিলাম হয়নি। দইয়ের বাজারের বাসিন্দা মনোতোষ ঘোষ শ্রীবাস বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিট অফিসার গত তিন দিন ধরে আম,লিচু সবেদা বিক্রি করছেন। বিষয়টি জানতে পারার পর এ দিন সকালে আমরা বিট অফিসার ও বনদফতরের অন্যান্য কর্মীদের কাছ থেকে জানতে চাই সরকারি বাগানের ফল বিক্রির কোনও অনুমতি আছে কি না। তারা অনুমতি পত্র দেখাতে পারেননি। এর পরেই আমরা বনদফতরের বিভাগীয় অফিসে বিষয়টি ফোনে জানাই।’’ এর আগে দু’দিনে প্রায় ৭ কুইন্টাল আম এবং বেশ কিছু গাছের লিচু ও সবেদা বিক্রি করেছেন অভিযুক্ত অফিসার। এ দিন অবশ্য ক্ষোভের মুখে পড়ে অভিযুক্ত অফিসার ভূল স্বীকার করেছেন। এ দিন চাপড়া বাঙ্গালঝির আমের ব্যবসায়ী রবিউল মল্লিক বনদফতরের বাগানের আম কিনতে এসেছিলেন। তিনি লিখিত জানান, বিট অফিসারের কথা মতো তিনি আম,লিচু,সবেদা কিনেছেন। তবে এ সব কেনার জন্য তাঁকে সরকারি কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। পরে রবিউল মল্লিক বলেন, “সরকারি কাগজপত্র ছাড়া ফল কেনা বেআইনি জানতাম না’’

forest department
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy