Advertisement
E-Paper

জয়া বলছেন ‘ওরা এবিভিপি’

কলেজে টিএমসিপির ঝান্ডা নিয়ে বিবাদমান দুই পক্ষ। জয়ার কথায়, ‘‘কলেজের সামনে এসে টিএমসিপির ঝান্ডা হাতে নিয়ে গন্ডগোল করছ এবিভিপি।’’ মঙ্গলবার, কৃষ্ণনগরে ২১ জুলায়ের প্রস্তুতি সভায় এসে এমনই দাবি জয়ার।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৭ ০১:০৪

শান্তিপুর কলেজে হাতাহাতি বেধে ছিল টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। দলীয় সংগঠনের চেনা দুই প্রতিপক্ষের সেই লড়াইকে আড়াল করতে তিনি সটান আঙুল তুললেন বিজেপি-র ছাত্র সংগঠনের দিকে। তিনি জয়া দত্ত, টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি।

কলেজে টিএমসিপির ঝান্ডা নিয়ে বিবাদমান দুই পক্ষ। জয়ার কথায়, ‘‘কলেজের সামনে এসে টিএমসিপির ঝান্ডা হাতে নিয়ে গন্ডগোল করছ এবিভিপি।’’ মঙ্গলবার, কৃষ্ণনগরে ২১ জুলায়ের প্রস্তুতি সভায় এসে এমনই দাবি জয়ার।

সোমবারই শান্তিপুর কলেজে গোষ্ঠা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ছাত্র সংসদের জিএস এবং এজিএসের দুই গোষ্ঠী। সেই গন্ডগোলে গুরুতর জখম হয়ে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি এক টিএমসিপি সমর্থক। তার পরেও জয়ার এই দাবি নিয়ে টিএমসিপি-র মধ্যেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এ দিন বিকেলে জয়া যখন বলছেন, ‘‘আপনারা যেটাকে টিএমসিপির গোষ্ঠী কোন্দল বলছেন তারা আদৌ টিএমসিপি কিনা সেটা দেখতে হবে। দেখতে হবে ওরা অন্য দলের কিনা।’’ ভুলটা ধরিয়ে দিতে তিনি অবশ্য বলছেন, ‘‘তাই যদি হয়, তা হলে দেখতে হবে, ওরা দলের নির্দেশ মানছে না কেন। তেমন হলে ওদের বহিষ্কার করতে হবে।’’

দুদিন আগেই নিজেই এগিয়ে এসে ছাত্র ভর্তির জন্য টাকা নেওয়ার সময় এক জনকে হাতেনাতে ধরেছিলেন জয়া। দলনেত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও বার বার তাঁকে কেন রাস্তায় নামতে হচ্ছে? জয়া বলেন, “আমি নিজেকে নেতা মনে করি না, কর্মী মনে করি। দলটাকে শক্ত করার জন্যই রাস্তায় নেমেছি।’’

অনেক কলেজেই বছরের পর বছর ধরে দলের ছাত্র নেতারা জিএস থেকে যাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘোষনা সত্ত্বেও সেই ট্রাডিশন চলছেই। জয়ার কথায়, “বিষয়টা নিয়ে আমরা দলীয় স্তরে কথা বলব। যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Group Clash TMCP Santipur College Jaya Dutta জয়া দত্ত টিএমসিপি এবিভিপি ABVP
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy