নদিয়ায় কংগ্রেসের ভরাডুবির মধ্যে মান রেখেছে শুধু রানাঘাট। গোটা জেলার ভোট হয়েছে এমন আটটি পুরসভার মধ্যে একমাত্র এই পুরসভা থেকেই দু’টি আসন ঝুলিতে এসেছে তাদের। কিন্তু, জয়ের কারিগর নিয়েও বিতর্ক চলছে কংগ্রেসের অন্দরে।
রানাঘাটের কিছু কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীকে ব্রাত্য রেখে প্রচারের মুখ করেছিলেন শঙ্কর সিংহকে। তাঁদের দাবি, শঙ্করকে সামনে রেখে জেলার একমাত্র এই পুরসভাতেই প্রচার চালিয়েছিলেন তাঁরা। তাতেই সাফল্য এসেছে। এমন দাবিকে নস্যাৎ করে অধীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসীম সাহার পাল্টা দাবি, ‘‘জেলায় শঙ্কর-কংগ্রেস বলে আলাদা কিছু নেই। যাঁরা জিতেছেন, তাঁরা কংগ্রেসের প্রতীকেই জিতেছেন। এর কৃতিত্ব কর্মীদেরই।’’
শঙ্কর তৃণমূলে যাবেন, কি যাবেন না তা নিয়ে টানাপড়েনের মধ্যে তাঁর অনুগামীরা রানাঘাটে ৬টি আসনে কংগ্রেসের প্রতীকে লড়াইয়ে নামেন। তাঁদের ব্যাখ্যা, দু’টি আসনে জয় এলেও এটিকে হেলাফেলা করা যাবে না। কারণ, জেলার ১৫১টি আসনের ৪৮টি আসনে শেষমেষ প্রার্থী দিতে পেরেছিল কংগ্রেস। কিন্তু রানাঘাট ছাড়া কোনও আসনেই অধীরের অনুগামী জেলা নেতৃত্ব খাতাই খুলতে পারেনি। এক কর্মীর কথায়, ‘‘রানাঘাট কিছুটা ব্যতিক্রমী। কারণ শঙ্করদাই এখানে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন।’’
তবে পুর-প্রচারে তেমন সক্রিয় ছিলেন না শঙ্করবাবু। এলাকার কংগ্রেস কর্মীরা তাঁকে প্রচারে চেয়েও পাননি। নির্বাচনের একেবারে মুখোমুখি সময়ে একদিন শুধু দীর্ঘ দিনের অনুগামী ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী কজ্জ্বোল চট্টোপাধ্যায়-সহ কয়েক জন প্রার্থীর বাড়িতে বসে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন। অনুগামীদের দাবি, তাতেই বাজিমাত হয়েছে। রানাঘাটের বাসিন্দা তথা জেলা কমিটির প্রাক্তন কার্যকরি সভাপতি সর্বোদর্শণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত, ‘‘শঙ্করদা সক্রিয় হয়ে রাস্তায় নামলে ফল আরও ভাল হত।’’
এই জয় নিয়ে নতুন করে কোনও বিতর্কে যেতে চাননি শঙ্কর সিংহ। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, ‘‘মাত্র দু’টি ওয়ার্ডে জয় এলেও এটা অন্তত বোঝানো গেল শঙ্কর সিংহ এখনও ফুরিয়ে যাননি।’’ কগ্রেসের জয়কে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রানাঘাটের বিদায়ী পুরপ্রধান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ‘‘কংগ্রেস টাকা বিলিয়ে জিতেছে।’’
রাজ্য রাজনীতিতে এক সময় শঙ্কর-অধীরের সুসম্পর্কের থাকলেও পরে তার অবনতি হয়। শঙ্কর প্রকাশ্যে বহুবারই বর্তমান প্রদেশ সভাপতির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। প্রদেশ নেতৃত্বের নানা কাজে তিনি অখুশি, সে জন্যেই ‘বসে যাওয়া’ তা-ও স্পষ্ট করেছেন। তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়েও জল্পনা রয়েছে দলের অন্দরে। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের আগে এই সময়ে রানাঘাটের দু’টি আসনে জয় শঙ্করকে রাজনৈতিক ভাবে আরও প্রাসঙ্গিক করল বলেই তাঁর অনুগামীদের মত।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু। লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল কাবিল শেখ (৬৫) নামে এক ব্যক্তির। সোমবার দুপুরে রঘুনাথগঞ্জের চর পিরোজপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি সুতির চাঁদেরমোড়ের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হওয়ার সময় রঘুনাথগঞ্জগামী একটি লরি তাঁকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। তাঁর ব্যাগ তল্লাশি করে সম্মতিনগর শাখার একটি ব্যাঙ্কের পাসবই থেকেই তাঁর পরিচয় জানা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy