দলীয় দফতর থেকে তৃণমূলের এক কাউন্সিলরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার কল্যাণীর হরিণঘাটা এলাকায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হরিণঘাটার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) কার্যালয় থেকে রাকেশ পাড়ুই নামে ওই তৃণমূল কাউন্সিলরের দেহ উদ্ধার হয়। তৃণমূল নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ নিয়ে ঘনিয়েছে রহস্য। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রাকেশ হরিণঘাটা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ছিলেন। পাশাপাশি, টিএমসিপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাও ছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হরিণঘাটা মোহনপুর বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিএমসিপি কার্যালয়ে ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় রাকেশের। রাকেশের দলীয় সহকর্মীরাই প্রথমে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
এর পরে খবর দেওয়া হয় মোহনপুর পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় হরিণঘাটা গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকেশকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন। খবর ছড়িয়ে পড়তে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। হাসপাতালে ভিড় জমতে শুরু করে। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব এবং কর্মীরা চলে আসেন। গ্রামীণ ওই হাসপাতাল থেকে রাকেশের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে করা হলেও ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার আশিস মৌর্য বলেন, ‘‘দলীয় কার্যালয় থেকে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে।’’