E-Paper

উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে নবম, চিকিৎসক হওয়া লক্ষ্য কুশলের

তেহট হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কুশল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে মাধ্যমিকে ৬৭২ পেয়ে তেহট্ট ১ ব্লকে প্রথম ও তেহট্ট মহকুমায় কুশল তৃতীয় হয়েছিল।

সাগর হালদার  

শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২৪ ০৯:২৭
কুশলকে সম্বর্ধনা দিতে এসেছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক দিব্যেন্দু পাল, সাথে তেহট্ট হাইস্কুলের শিক্ষকেরা। নদিয়ার তেহট্টে।

কুশলকে সম্বর্ধনা দিতে এসেছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক দিব্যেন্দু পাল, সাথে তেহট্ট হাইস্কুলের শিক্ষকেরা। নদিয়ার তেহট্টে। ছবি: সাগর হালদার।

উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যে মেধা তালিকায় নবম স্থান পাওয়া ১১ জনের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিল তেহট্টের কুশল ঘোষ। সে পেয়েছে ৪৮৮ নম্বর।‌ সুখবর পাওয়া মাত্রই কুশলকে শুভেচ্ছা জানাতে তেহট্ট নতুনপাড়ায় তাদের বাড়িতে হাজির হন তার শিক্ষক থেকে আত্মীয়রা। কুশলকে সংবর্ধনা দেন জেলা স্কুল পরিদর্শক দিব্যেন্দু পাল-সহ স্কুল কর্তৃপক্ষ।

তেহট হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কুশল। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে মাধ্যমিকে ৬৭২ পেয়ে তেহট্ট ১ ব্লকে প্রথম ও তেহট্ট মহকুমায় কুশল তৃতীয় হয়েছিল। উচ্চ মাধ্যমিকেও যে কুশল ভাল ফল করবে সে আশা ছিল স্কুলের শিক্ষক থেকে তার পরিবারের। কুশলের বাবা কৃষ্ণ ঘোষ কলকাতা পুলিশের কর্মী। মা সোমা ঘোষ নিমতলা বিদ্যা নিকেতনের পার্শ্বশিক্ষিকা। কুশলের ছোট বোন আছে। প্রাথমিক লেখাপড়া শুরু তেহট্টের সারদাময়ী শিশু নিকেতন থেকে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে তেহট্ট হাইস্কুলের ছাত্র কুশল।

নিজের এমন রেজাল্টে খুশি কুশল।‌ বাংলায় ৯৫, ইংরেজিতে ৯৫, রসায়নে ৯৬, পদার্থ বিদ্যায় ১০০, অঙ্কে ১০০ ও জীববিদ্যায় ৯৭ নমেবর পেয়েছে সে। কুশলের কথায়, ‘‘স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ সবাই সাহায্য করেছেন। পাঁচ জায়গায় টিউশন পড়েছে। বাড়িতে ছয় থেকে সাত ঘণ্ট পড়তাম।’’ নিজের এই সাফল্যের জন্য মা সোমা ঘোষ এবং বড় মামা বুদ্ধদেব ঘোষের কথাও তুলে ধরে সে। কুশল বলে, “মা আর বড় মামা আমাকে সব সময় পড়াশোনায় সাহায্য করত। পাশাপাশি সব শিক্ষকেরাও যথেষ্ট যত্ন নিয়েছেন। তাই এই ফল। ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।’’

মামা বুদ্ধদেব ঘোষ বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম ও ৪৯০ পাবে। ভাল তো লাগছেই ভাগ্নে রাজ্যে নবম হয়েছে।” বাবা কৃষ্ণ ঘোষ ছেলের রেজাল্টের জন্যই বুধবার সকালে বাড়ি ফেরেন। তিনি বলেন, “ওর মা, মামা, শিক্ষকদের পাশাপাশি যাদবপুর ট্রাফিক গার্ডের ওসি দেবরাজ নাহাট আমাকে বারবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ছেলের এই সাফল্যে ওঁদেরও অবদান আছে।” মা সোমা ঘোষের কথায়, ‘‘ছেলের এমন সাফল্যে আমি খুশি।”

তেহট্ট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মানিক লাল ঘোষ বলেন, “স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্যে ও আজ এই রেজাল্ট করেছে। আমাদের স্কুলে এটাই এখনও পর্যন্ত সেরা রেজাল্ট।” জেলা স্কুল পরিদর্শক দিব্যেন্দু পাল বলেন, “কুশলের এত ভাল ফল আমাদের খুশি করেছে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Higher Secondary Exam 2024 Tehatta

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy