Advertisement
E-Paper

মশার আঁতুড়ঘর হাসপাতালই

লালগোলা ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রবেশ পথের পাশেই  সেই ফ্লেক্সের নিচেই জঞ্জালের স্তুপ। নিকাশি নালা উপচে পড়ছে নোংরা জলে। রোগিরা বলছেন, ‘দেখে বোঝার উপায় নেই, শেষ কবে নর্দমা পরিষ্কার হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৩৩
জমেছে জঞ্জাল। নিজস্ব চিত্র

জমেছে জঞ্জাল। নিজস্ব চিত্র

হাসপাতালে ঢোকার মুখে ঢাউস ফ্লেক্স। ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতার সাতসতেরোর ফিরিস্তি তাতে।

লালগোলা ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতালে প্রবেশ পথের পাশেই সেই ফ্লেক্সের নিচেই জঞ্জালের স্তুপ। নিকাশি নালা উপচে পড়ছে নোংরা জলে। রোগিরা বলছেন, ‘দেখে বোঝার উপায় নেই, শেষ কবে নর্দমা পরিষ্কার হয়েছে।

হাসপাতালের ভিতরে কোথাও নালা উপচে ভাসছে হাসপাতাল চত্বর, কোথাও নিকাশি নালা বিলকুল ভেঙে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে। অভিয়োগ, জমা জল বের করার কোনও ব্যবস্থা নেই। ছড়ানো হয় না হয় না ব্লিচিং-চুনও। রোগির বাড়ির লোকের অভিযোগ, কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতাল ডেঙ্গির আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে।

এই বিষয়ে অবাক করা মন্তব্য করেছেন হাসপাতালের বিএমওএইচ সৌম্য সাহা। ওই হাসপাতালে তাঁর নিত্য যাতায়াত। তিনি বলেন, ‘‘নোংরা-আবর্জনা জমে রয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। গত কয়েক বছর ধরে হাসপাতালে কোনও স্থায়ী সাফাই কর্মী নেই। দৈনিক ভাতায় কয়েক জন কর্মী রেখে নিয়মিত হাসপাতাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করানো হয়।’’ তিনি জানান, তারা গত কয়েক দিন না আসায় ওই নোংরা-আবর্জনা জমে গিয়েছে। দ্রুত পরিস্কার করা হবে।

এখন পর্যন্ত লালগোলা ব্লকে সরকারি ভাবে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৭। কিন্তু বেসরকারি ভাবে ওই রোগীর সংখ্যা আরও বেশি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়মিত ঝোপ-জঙ্গল সাফ করা হয়। নিকাশি নালাও সাফ-সুতরো করো ব্লিচিং ও চুন ছড়ানো হয় নিয়মিত। কিন্তু তার প্রমাণ গোটা হাসপাতাল চত্বর ঘুরেও মেলেনি। ব্লিচিং পাউডারের ছিটেফোঁটা পড়ে থাকতে দেখা যায়নি কোথাও। ব্যবহারের পরে যত্রতত্র পড়ে রয়েছে গজ-তুলো-ব্যান্ডেজ। থার্মোকলের থালা, কাগজ ও প্লাস্টিকের কাপে নর্দমা বুজে রয়েছে।

যেখানে-সেখানে জল জমতে না দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাইকে নিয়মিত প্রচার চালাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। লিফলেট বিলি থেকে ব্যানার-হোর্ডিং টাঙিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করলেও কৃষ্ণপুর গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে রোগী ও রোগীর বাড়ির পরিজনদের অভিযোগ।

হাসপাতালটি বাহাদুরপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। ওই পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান কংগ্রেসের যদু ঘোষের জানান, পঞ্চায়েত থেকে বেশ কয়েক দফায় হাসপাতাল পরিস্কারও করা হয়েছিল। তার পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হুঁশ ফেরেনি। মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিরুপম বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্থায়ী সাফাই কর্মী নেই বলে হাসপাতালের নোংরা-আবর্জনা নিয়মিত পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা যাচ্ছে না, এটা কোনও যুক্তি হতে পারে না। এতে ভুল সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে।’’

Mosquitoes garbage Hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy