স্ত্রীকে খুনে ধৃত দিলীপ। —নিজস্ব চিত্র।
ধারালো অস্ত্রের পরপর কোপে খুন হয়েছেন স্ত্রী। রক্তমাখা শরীরে স্বামী বসে ছিল কাছেই। প্রথম দিকটায় অস্বীকার করছিল বটে, কিন্তু পুলিশের দাবি, পরে জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে সে।
পুলিশ জানায়, নিহতের নাম প্রতিমা ঘোষ (৪২)। তাঁর ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্বামী দিলীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ভীমপুর থানার ট্যাংরা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। গভীর রাতে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। সেই সঙ্গে স্বামী দিলীপ ঘোষ ও ছেলে পৃথ্বীরাজ ঘোষকেও থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দিলীপ কাজ-টাজ তেমন কিছু করত না। তা নিয়ে বাড়িতে প্রায়ই অশান্তি হত। ওই রাতে লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে গ্রামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। ছেলে পৃথ্বীরাজও সেখানে ছিল। স্বামীর সঙ্গে গন্ডগোল হওয়ায় প্রতিমা রাতে রান্না না করে অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি ফিরে শুয়ে পড়েছিলেন। তা নিয়েই বড়সড় ঝগড়া বাধে। কথা কাটাকাটি চলার সময়েই দিলূপ আচমকা বটি নিয়ে প্রতিমাকে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকে বলে অভিযোগ। রাতে ছেলে বাড়ি ফিরে দেখে, উঠোনে পড়ে আছে প্রতিমার মৃতদেহ। দাওয়ায় রক্তমাখা অবস্থায় বসে আছে দিলীপ। ছেলের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।
জেলার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, “কাজ না করা নিয়ে স্ত্রী গালিগালাজ করতেন। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, সেই কারণেই রাগের মাথায় লোকটি খুন করেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy