এলাকায় কাজ নেই। বাড়ির অবস্থাও ভাল নয়। তাই আয়ের একটা উপায় খুঁজছিলাম। এমন সময় বিদেশে ভালো কাজের হাতছানি পেলাম। খবরটা দিয়েছিল তেহট্টের এক দালাল। এক লক্ষ টাকা দিলে মালয়েশিয়ায় নিয়ে গিয়ে নামী কোম্পানিতে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওই দালাল। আর পাঁচ জনের মত আমরাও দালালের ফাঁদে পা দেওয়া সেই প্রথম।
গত বছর ১৫ জুন মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিলাম। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর পর দেখি, ভাল কোম্পানিতে কাজ দূরে থাক, মাঝে মধ্যে কাজ ছাড়াই বসে থাকতে হচ্ছে। কাজ পেলেও বেতন পর্যাপ্ত মিলছে না। মাস খানেকের মধ্যেই বুঝলাম, এ ভাবে চলবে না। এখান থেকে ফিরতে হবে। কিন্তু ফিরব কী করে, কাগজপত্র, পাসপোর্ট সব তো আটকে রেখেছে। তা ছাড়া পালাতে গিয়ে দালালের কাছে ধরা পড়লে চরম অত্যাচার করবে, এমন অভিজ্ঞতার কথা আগেই শুনেছিলাম।
পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হতে লাগল। অথচ পালানোর সব রাস্তা বন্ধ। তাই নদিয়ার গ্রামের লোকজনকে বললাম, জেলাশাসকের কাছে আমাদের দুর্দশার কথা জানাতে। খবরটা আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হতেই আমাদের মালয়েশিয়ায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি আসতে শুরু হল দালালের কাছ থেকে। এর পরে আমরা পালানোর পরিকল্পনা করি।