মরণোত্তর চক্ষুদানে শহরবাসীকে উৎসাহিত করতে এবং যাঁরা চক্ষুদান করলেন তাঁদের সম্মান জানাতে মরদেহ সৎকারের খরচ মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শান্তিপুর পুরসভা। চক্ষুদান আন্দোলনে যুক্ত সমাজকর্মীরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃতের চোখের কর্নিয়া তুলে দৃষ্টিহীনের চোখে প্রতিস্থাপন করা গেলে বহু ক্ষেত্রে দৃষ্টি ফেরানো যায়। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পুরসভার শ্মশানে চক্ষুদাতার সৎকারের খরচ নেওয়া হবে না বলে গত ২৬ জুলাই পুরসভার বোর্ড অব কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাল, ১ অগস্ট থেকে এই নিয়ম কার্যকরী হবে। পুরপ্রধান অজয় দে বলেন, “চক্ষুদাতা যেখানকারই বাসিন্দা হোন বা যেখানেই চক্ষুদান করুন, শান্তিপুর শ্মশানে শবদাহের খরচ মকুব হবে।”
এই শ্মশানের উপরে রানাঘাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ নির্ভর করেন। কোতোয়ালি থানার দিগনগর ও আশপাশের মানুষও আসেন। প্রতি দিন গড়ে ১৫-২০টি দেহ সৎকার হয়। সৎকারের জন্য ১০০০ টাকা করে নেওয়া হয়।