পহেলগামে নিরীহ পর্যটকদের হত্যার পাল্টা মার দিয়েছে ভারত। ভারতের সেই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে পাকিস্তান আবার হামলার চেষ্টা করছে। ভারত তা প্রতিহত করেছে সাফল্যের সঙ্গে। সারা দিন ধরে এই ছিল জেলার সর্বত্র আলোচনার বিষয়।
রাত যত গড়িয়েছে, জেলার মানুষ ততই এই আলোচনায় ঢুকেছেন। জেলার মানুষের মুখে মুখে ফিরছে ভারত কী ভাবে পাক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করছে, সেই সাফল্যের কথা।
জলঙ্গির সালাউদ্দিন মণ্ডল বলছেন, ‘‘১৯৭১ সালে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পূর্ব পাকিস্থানকে ভেঙে বাংলাদেশ গড়ে তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছিলেন। একই ভাবে এ বারেও পাকিস্থানের কোমর ভেঙে যোগ্য জবাব দিতে হবে।’’
‘অপারেশন সিঁদুরে’র সাফল্যর কথা সামনে আসার পর থেকেই পাড়ার চায়ের দোকান, মোড়ের মাথার আড্ডার আলোচনার বিষয় ছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাকিস্থানকে প্রত্যাঘাতের কথা। মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্থানকে প্রত্যাঘাত করে যোগ্য জবাব দিয়েছে। তার পর জেলা সদর বহরমপুর থেকে শুরু করে একেবারে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া লালগোলা থেকে রানিনগর, সাগরপাড়া-জলঙ্গি সর্বত্রই আমজনতা পাকিস্থানকে প্রত্যাঘাতের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এই আবহে এ দিন বিজেপির বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মলয় মহাজন বলেন, ‘‘দেশের সেনাবহিনী শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে নেমেছে। তাঁদের মঙ্গল কামনায় এবং সেনাবাহিনীর সাফল্য চেয়ে এ দিন প্রতি মণ্ডল কমিটিতে পুজো করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো বড়ঞা, বহরমপুরের হাতিনগরে পুজো হয়েছে। অন্য মণ্ডলগুলিতেও এ দিন পুজো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বহরমপুরের একটি মন্দিরে সেনাবাহিনীর মঙ্গল কামনায় আমরা পুজো করেছি।’’
সন্ধ্যায় বহরমপুরে বিজ্ঞান, সম্প্রীতি ও সংস্কৃতি যাত্রার আয়োজন করে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ। বিভিন্ন এলাকা থেকে সেই পদযাত্রা করে পরে তাঁরা সভা করেছেন। সেখানে দেশের জওয়ানদের সঙ্গে পহেলগামে নিহতদের শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)