Advertisement
E-Paper

সভাপতি বদল নিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির ঘরে

বেশ কিছু দিন ধরেই সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের  সঞ্চার হচ্ছিল। এর আগেও বেশ কয়েক জন এসে এই অফিসেই গন্ডগোল করেছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:২৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

দলের এক মণ্ডল সভাপতি পরিবর্তন করা নিয়ে গোলমাল বাধল রানাঘাটে জেলা বিজেপি দফতরে।

বিজেপিরই একটি সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে রানাঘাট শহরের কোর্ট মোড়ের কাছে জেলা কার্যালয়ে ক্ষোভ দেখান বেশ কিছু কর্মী। ‘নদিয়া দক্ষিণ জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তী দুর হটো’ বলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। দলের অনেকে অফিস ছেড়ে অন্যত্র চলে যান।

স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা এলাকা থেকে কয়েকটি বাস এবং গাড়িতে কোর্ট মোড়ের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ওই দফতরে আসেন। এসেই তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। দলেরই একটি সূত্রের দাবি, ৩৭ নম্বর জেলা পরিষদ এলাকার সভাপতি রথীন মণ্ডলকে সরিয়ে তাপস ঘোষকে সভাপতি করায় রথীনের অনুগামীরা এসে বিক্ষোভ দেখান।

মেয়ের চিকিৎসা করাতে রথীন মণ্ডল এখন বেঙ্গালুরুতে। সেখান থেকেই ফোনে তিনি বলেন, “গত ১ জানুয়ারি আমায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। মহাষ্টমীর দিন সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সময়ে আমি বেঙ্গালুরুতে ছিলাম। এখনও এখানেই রয়েছি। আমাকে পদ থেকে কেন সরানো হয়েছে, কিছুই জানানো হয় নি।” তাঁর দাবি, “আমি শুনেছি, এ দিন পাঁচশো লোক আমাকে সরানোর বিষয়ে কৈফিয়ত চাইতে গিয়েছিল।”

নবনিযুক্ত সভাপতি তাপস ঘোষ আবার দাবি করেন, “মাঝে এলাকায় দলের অবস্থা খুব খারাপ হয়েগিয়েছিল। দল আমায় দায়িত্ব দেওয়ার পরে হাল অনেকটাই ফেরানো সম্ভব হয়েছে। সেই কারণে কিছু লোকজন আমার বিরুদ্ধে এ সব করছে। এ দিন ওরা তৃণমূলের কিছু লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে জেলা অফিসে গিয়ে ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।”

বেশ কিছু দিন ধরেই সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছিল। এর আগেও বেশ কয়েক জন এসে এই অফিসেই গন্ডগোল করেছিল। এ দিন জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তী এবং কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক আশিস বিশ্বাস অফিসে ছিলেন। অশোক অবশ্য দাবি করেন, “এ সব তথ্য ঠিক নয়। এ দিন গৃহ সম্পর্ক কর্মসূচির জন্য ৯১ জনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কারণেই বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক কর্মী এসেছিলেন। তাতেই হয়তো অনেকে ভাবতে পারেন, অফিসে গন্ডগোল হচ্ছে।”

এ দিকে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য, “আমার সামনে কিছু হয়নি। শুনেছি, কোনও এক জনপ্রিয় মণ্ডল সভাপতির বদল নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ হয়েছে। তবে অপ্রীতিকর কিছু হয়নি।”

Ranaghat BJP Inner conflict
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy