প্রতীকী ছবি।
সামনে বিধানসভা ভোটের পরীক্ষা। বিজেপির সঙ্গে লড়াই কঠিন হচ্ছে। এবং দলের ভিতর প্রবল গোষ্ঠী কোন্দল সামলাতে শাসক দলকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তৃণমূলের নিচুতলার অনেক কর্মী-সমর্থক এই পরিস্থিতিতে অস্থির ও বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ছেন, আস্থা হারাচ্ছেন। জেলা তৃণমূলের অন্দরের খবর, এই অবস্থায় দলনেত্রীকে কাছে পেয়ে তাঁর কাছ থেকে মনোবল বাড়ানোর মতো কিছু বার্তা আসা করছেন কর্মীরা। আবার অনেক কর্মীর মত, জেলায় দলের পুরনো তথা বর্ষীয়ান নেতাদের সম্মান ও ক্ষমতা ফিরিয়ে দিন এমন আশা করছেন তাঁরা। তাতে দলের মঙ্গল হবে।
নেত্রী বরাবরই জেলায় দলের পুরনোদের নিয়ে চলার কথা বলেছেন। কয়েক মাস আগেও কর্মসূচি নিয়ে জেলা স্তর থেকে একেবারে বুথ স্তর পর্যন্ত পুরনোদের সক্রিয় করত উদ্যোগী হয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু লাভ হয়নি। জেলায় দলের আরেকটি ক্ষমতাবান গোষ্ঠী পুরনোদের ব্রাত্য করেই রেখেছে। গৌরীশঙ্কর দত্ত, অজয় দে, কল্লোল খাঁ, শঙ্কর সিংহ, পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা, রুকবানুর রহমানের মত নেতাদের দলে ক্রমশ ক্ষমতাহীন করে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ। একেবারে বুধ স্তরেও একই অবস্থা। শনিবারও নবদ্বীপের মায়াপুর-বামুনপুকুর ১ অঞ্চল কমিটির বৈঠকেও জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বুথ কর্মীরা।
এই পরিস্থিতিতে দলের নিচু তলার কর্মীরা চাইছেন, নেত্রী এমন কড়া বার্তা দেন যাতে পুরনোদের দূরে সরিয়ে রাখতে না-পারেন দলের বর্তমান জেলা নেতৃত্ব। চাপড়ার এক তৃণমূল কর্মী সইফুল মণ্ডল যেমন বলছেন, “পুরনো আর নতুনের লড়াই থামাতে না পারলে কিন্তু কপালে দুঃখ আছে। আমরা চাই নেত্রী এই বিষয়ে বার্তা দিন। যেমন করেই হোক জেলায় বাড়তে থাকা গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করতেই হবে।” দিগনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ধনঞ্জয় ঘোষ বলছেন, “পুরনোদের গুরুত্ব দিয়ে ভোটের কাজে লাগানোর নির্দেশ যেন দিয়ে যান নেত্রী। এই বিষয়ে তাঁর কড়া বার্তা শোনার অপেক্ষায় আছি সকলে।”
চাপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমান বলছেন, “বিধায়কদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে। নেত্রীর সভার দায়িত্ব তাঁদের দেওয়া হয়নি। শুনছি নাকি প্রধানদের সভায় লোক নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
যদিও নেত্রীর সভা ঘিরে প্রকট হয়ে ওঠা দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কথা মানতে নারাজ জেলা কমিটির চেয়ারম্যান মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি বলছেন, “আমি নিজে বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেছি। দলে কোনও সমস্যা নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy