প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি কারা হবেন, তা নিয়ে সংশয় কাটেনি। তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ। বাড়ছে উত্তেজনা। বাড়ছে শাসক দল তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে। নানা কথা রটছে। তাতে বাড়ছে ক্ষোভও। ভগবানগোলার পর এ বার প্রতিবাদের ঝড় ফরাক্কাতেও।
মঙ্গলবার ফরাক্কা ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ ১৯ জন সদস্য, ব্লকের ৭ জন প্রধান, ৯ জন অঞ্চল সভাপতি ও একাধিক দলীয় শাখা সংগঠনের নেতারা ফরাক্কা এলাকার দায়িত্বে থাকা জেলার কো অর্ডিনেটর খলিলুর রহমানের কাছে দল বেঁধে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন। তাতে লিখিত ভাবে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ব্লক সভাপতি হিসেবে ইলিয়াস শেখের নাম শোনা যাচ্ছে। অথচ তিনি গত পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের পক্ষে প্রকাশ্যে নির্বাচন করেছেন। তাঁকে সভাপতি করা হলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে, তাই নয়, ফরাক্কায় দলের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। সেক্ষেত্রে সদ্য সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া অরুণময় দাসকে ব্লক সভাপতি করার প্রস্তাব দিয়েছেন তাঁরা।
ব্লক সভাপতির নাম ঘোষণার অপেক্ষায় যেমন অধীর আগ্রহে তৃণমূল কর্মীরা, ঠিক তেমনই আগ্রহ রয়েছে বিরোধী শিবিরেও। কারণ বিরোধী দল, বিশেষত কংগ্রেস ও বিজেপি নেতাদের ধারণা ভগবানগোলার মত তৃণমূলের অন্দরে বিক্ষোভ যত বাড়বে ততই কর্মীরা ক্ষোভে দল ছাড়বে। যা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদ জেলায় বাড়তি শক্তি জোগাবে বিরোধীদের।
গত সপ্তাহে তৃণমূলের জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর থেকেই বাজারে ছড়িয়েছে নানা নাম। তৃণমূল সূত্রের খবর, এ নিয়ে কোথাও কোথাও বিক্ষোভ ছড়ানোয় আটকে রয়েছে মুর্শিদাবাদে ব্লক সভাপতি পদের ঘোষণা। যারা অবশ্য ইতিমধ্যেই ব্লক সভাপতি হিসেবে বহাল থাকছেন বলে ইঙ্গিত পেয়েছেন, তাঁরাই আপাতত অনেকটা স্বস্তিতে তারা।
কিন্তু যেখানে ব্লক সভাপতি পরিবর্তন প্রায় নিশ্চিত? যেমন, ফরাক্কা ব্লক নিয়ে ক্ষোভ চলছে বহু দিন থেকেই। গত ৯ বছরে ব্লক সভাপতি বদল হয়েছে ৫ বার। বর্তমান ব্লক সভাপতি এজারত আলির নাম রয়েছে এ বার বদলের তালিকায়। তৃণমূলের অন্দরেও ফরাক্কায় ব্লক সভাপতি পদে পরিবর্তন এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই শোনা গিয়েছে। দলের কর্মীরাও নিশ্চিত, পরিবর্তন হচ্ছেই। বর্তমান সভাপতি এজারত আলি অবশ্য বলছেন, ‘‘কানাঘুষো শুনছি পরিবর্তনের কথা। এখনও আমাকে কেউ কিছু জানায় নি। তাই দলীয় সমস্ত কর্মসূচিই পালিত হচ্ছে।’’ ব্লক সভাপতি পরিবর্তনের আভাস মিলেছে সুতি ১ ব্লকেও। বর্তমান দলীয় সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলছেন, ‘‘দলের নির্দেশ আগেও মাথা পেতে নিয়েছি, এখনও নেব। দলের কর্মসূচি পালন করছি নিষ্ঠা ভরে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy