রুবেলের বাড়িতে তৃণমূল নেতারা। নিজস্ব চিত্র
নবগ্রাম গুলি-কাণ্ডের চার দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও তার কিনারা করতে পারল পুলিশ। ঘটনায় ক্ষুব্ধ মৃতের পরিজনেরাও। তাঁরা দ্রুত অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার দাবি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে মৃত মেহবুব শেখ ওরফের রুবেল খুনের ঘটনায় নবগ্রাম ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহম্মদ এনায়েত শেখ সহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে পুলিশ কথা বলললেও এখনও তার কিনারা করতে পারেনি। শুক্রবার ভোররাতে কলকাতা থেকে রুবেলে মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছয়। এদিন সকালে তাঁর মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে।
ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ এনায়েত শেখের ঘনিষ্ঠ ছিলেন রুবেল। কিন্তু ঘটনার পর থেকে নবগ্রামে এনায়েতকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তাঁর বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি, ফোন ধরেননি। তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই এনায়েত শেখকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলউর রহমান, নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাই চন্দ্র মণ্ডল রুবেলদের বাড়িতে যান। তাঁরা রুবেলের পরিজনদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। আজ শনিবার ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল তদন্তে আসবে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘নবগ্রামের ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’
সিপিএমের দাবি, এই খুনের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক রয়েছে। নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাই চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূলের সঙ্গে এই খুনের কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশের প্রতি পূর্ণাঙ্গ আস্থা আছে। আশা করছি শীঘ্রই অভিযুক্তদের পুলিশ খুঁজে বের করবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এনায়েত শেখ নবগ্রামে রয়েছেন। তিনি দলীয় কার্যালয়েও আসছেন। তাঁকে নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার করছেন। এদিনও আমাদের সঙ্গে এনায়েত রুবেলদের বাড়িতে এসেছেন।’’ এদিন এনায়েত শেখও বলেন, ‘‘রুবেল আমার খুব কাছের। ও আমাকে খুব ভালবাসত। তাঁর মৃত্যুতে আমি মর্মাহত, শোকাচ্ছন্ন। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy