সুপর্ণা ঘোষ ও বিজয়া দত্ত নামে দুই কন্যাশ্রীর মুখে এমন কথা শুনে তাদের ‘নাবালিকা’ বন্ধুর বিয়ে রুখল প্রশাসনের কর্তারা।
দশ দিন আগে গড়ে উঠেছিল কন্যাশ্রী ক্লাব। বৃহস্পতিবার পিছিয়ে পড়া সুতির মহেশাইলে সেই কন্যাশ্রী ক্লাবের যোদ্ধারাই মহেশাইলের নতুন পারুলিয়া গ্রামে গিয়ে বন্ধ করলেন সদ্য মাধ্যমিক পাশ এক ১৬ বছর বয়সী কিশোরীর বিয়ে।
ক্লাব গড়ার পর এই বিয়ে বন্ধের অভিযানে বাধা আসতে পারে আঁচ করেই সঙ্গে ছিল পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সিনি’র সুপারভাইজর বিজয় হাজরা। কন্যাশ্রী ক্লাবের সম্পাদক কলেজ পড়ুয়া আমিনা খাতুন বলেন, “ক্লাব গড়ে এই ধরনের নাবালিকা বিয়ে রোখার অভিযান এই প্রথম। স্বভাবতই কিছুটা আশঙ্কা তো ছিলই। ক্লাবের স্কুল পড়ুয়া কন্যাশ্রীরাই প্রথম খবরটা দেয় নতুন পারুলিয়ায় শম্পা দাসের বিয়ের দিন পাকা হয়েছে। বাড়িতে গিয়ে দেখি প্যান্ডেল বাঁধার জন্য বাঁশও চলে এসেছে । তাই আর দেরি করিনি। শম্পার বাবা মাকে রাজি করিয়ে বাড়ি ফিরেছি।” সিনি কর্তা বিজয়বাবু বলেন, ‘‘পিছিয়ে পড়া এলাকা বলেই কন্যাশ্রীদের নিয়ে ক্লাব গড়তে হয়েছে মহেশাইলে। প্রথম অভিযান বলে আমরাও সঙ্গে ছিলাম। মাধ্যমিক এবারই পাশ করেছে শম্পা।
শম্পার বাবা সুশীলবাবু বলছেন, “চার মেয়ের বড় শম্পা। ভাল পাত্র পাচ্ছিলাম। তাই বিয়েতে রাজি হই। মেয়ের স্বার্থেই ১৮ বছরের আগে আর মেয়েদের কারুরই বিয়ে দেব না বলে আশ্বস্ত করেছি সকলকে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy