Advertisement
০৬ মে ২০২৪

রণনীতি ঠিক করার ফাঁকে আড্ডা, হালকা বিশ্রাম

এ দিন তিনি আর পাঁচ দিনের থেকে একটু দেরিতেই ঘুম থেকে উঠেছেন। সকালে উঠেই ছুটেছেন গ্রামের বাড়ি মুরুটিয়ার বালিয়াডাঙায়। সেখানে দাদা, বউদি, ভাইপো— সকলেই থাকেন। এ দিন চাকদহ থেকে এসেছেন তাঁর দিদি ও জামাইবাবু।

জয়প্রকাশ মজুমদার, বিমলেন্দু সিংহরায় ও গোলাম রাব্বি। নিজস্ব চিত্র

জয়প্রকাশ মজুমদার, বিমলেন্দু সিংহরায় ও গোলাম রাব্বি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
করিমপুর শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ০১:৫৭
Share: Save:

উপ-নির্বাচনের জন্য টানা প্রায় কুড়ি দিনের প্রচার শেষ হয়েছে শনিবার বিকেলে। আজ সোমবার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট। তার আগে মাঝে একটা দিন নিজেদের মতো করে কাটালেন যুযুধান তিন দলের তিন প্রার্থী। তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহরায় রবিবার সারা দিন নিজের গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। তিনি বর্তমান কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা হলেও ভোটের প্রার্থী হওয়ার পর থেকে করিমপুরের অস্থায়ী আবাসনে রয়েছেন। সেই থেকে ভোরে প্রাতঃভ্রমণের সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপ ও ভোটের সমর্থন চাওয়া তাঁর প্রতিদিনের প্রথম কাজের তালিকায় ছিল।

কিন্তু এ দিন তিনি আর পাঁচ দিনের থেকে একটু দেরিতেই ঘুম থেকে উঠেছেন। সকালে উঠেই ছুটেছেন গ্রামের বাড়ি মুরুটিয়ার বালিয়াডাঙায়। সেখানে দাদা, বউদি, ভাইপো— সকলেই থাকেন। এ দিন চাকদহ থেকে এসেছেন তাঁর দিদি ও জামাইবাবু। দুপুরে বাটা মাছের পাতলা ঝোল দিয়ে মধ্যাহ্নভোজন সেরেছেন। তারপর বাড়িতেই সকলের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা আর মাঝে মাঝে ফোনে কথা বলেছেন দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। সন্ধ্যায় আবার রওনা দিয়েছেন প্রায় পনেরো কিলোমিটার দুরের করিমপুরে। খতিয়ে দেখেছেন ভোটের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বিমলেন্দুবাবু বলেন, “গত কয়েক দিনের প্রচারের জন্য প্রায় চারশো কিলোমিটার পথ হেঁটেছি। অনেকদিন পরে আজ একটু অবসর পেলাম।”

একই ভাবে ক্লান্ত শরীর নিয়ে সকাল আটটায় বিছানা ছেড়েছেন সিপিএমের প্রার্থী গোলাম রাব্বি। বাড়িতে মেয়ে আর অন্যদের সঙ্গে প্রাতরাশ ও এগারোটা নাগাদ রুই মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খেয়ে চলে এসেছেন করিমপুরের দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে ছিলেন বিকেল অবধি। ঘনঘন চা খেয়েছেন আর ভোট নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ দিন সকাল থেকে জামতলার দলীয় কার্যালয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। গত প্রায় সতেরো দিন থেকে তিনি এখানে স্থায়ী ভাবে রয়েছেন। এত দিন কখনও সকালে প্রাতঃভ্রমণ বাদ যায়নি। কিন্তু রবিবার তা বন্ধ রেখেছেন। তার পর কর্মীদের সঙ্গে ভোট নিয়ে আলোচনা সারেন তিনি। প্রাতরাশ করেছেন অনেক দেরিতে। দুপুরের খাওয়া খেতে বিকেল তিনটে পেরিয়ে গিয়েছে। এদিন তাঁর খাবারের মেনুতে ছিল ভাত, শাক, ডাল আর পনির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE