Advertisement
০৮ মে ২০২৪
Pregnant Woman Death

অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যুতে হাসপাতালের দিকেই আঙুল

কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা প্রায় আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ওই দম্পতি কৃষ্ণনগরের কাছে জালালখালি এলাকায় আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে এসেছিলেন।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর  শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৩
Share: Save:

অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হল এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার। মৃতের নাম দেবিকা রায় (২৩)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর এলাকায়। ওই মহিলার স্বামী সুমন রায় রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত। ওই ঘটনায় হাসপাতালের দিকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগের আঙুল উঠেছে।

কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা প্রায় আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ওই দম্পতি কৃষ্ণনগরের কাছে জালালখালি এলাকায় আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে এসেছিলেন। মহিলার পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে দেবিকার আচমকা পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। সকালেই তাঁকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মহিলাকে প্রাথমিক পরীক্ষার পরে হাসপাতালে ভর্তি করে নেন। কিন্তু বেলা এগারোটা নাগাদ তাঁকে আবার ছেড়েও দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, দেবিকাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার ঘণ্টা তিনেক পরে আবার যন্ত্রণা শুরু হলে বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দেবিকাকে ফের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসক মহিলাকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। ওই ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিবারের লোকজন দেবিকার চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ওই ঘটনায় হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত সরকার বলেন, “দ্বিতীয় বার হাসপাতালে আসার অগেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়। যে কারণে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে আমরা মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”

যদিও মহিলার পরিবারের তরফে একাধিক প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, কেন ঘণ্টাপাঁচেকের মধ্যে ‘সুস্থ’ বলে ওই মহিলাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল। আর দেবিকা ‘সুস্থ’ই যদি থাকতেন, তা হলে তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তরুণীর মৃত্যু কেন হল?

মৃতের স্বামী সুমন রায়ের অভিযোগ, “চিকিৎসক কিন্তু এক দিন হাসপাতালে রেখে, পর্যবেক্ষণ করে তবেই ছাড়ার কথা লিখেছিলেন। অথচ, নার্সেরা আমার স্ত্রীকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিল। কেন এমন হল? এই ঘটনার জন্য কে দায়ী?”

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেবিকার স্বামীর এই অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। তবে কেন এমন হল, তার কোনও সুনির্দিষ্ট জবাব নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। যদিও সুপার জয়ন্ত সরকার বলেন, “পরিবারের তরফে আমায় মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাইনি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Krishnanagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE