Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপিকে রুখতে ফের লক্ষ্মণ-রাজ

মঙ্গলবার তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহ তাঁর চাকদহের বাড়িতে ডেকে লক্ষ্মণের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণগঞ্জ শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৫৮
Share: Save:

ফের লক্ষ্মণ ঘোষকে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক সভাপতির পদে বসাল তৃণমূল। তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, দল ভাল করেই বুঝে গিয়েছে যে ওই এলাকায় বিজেপির আগ্রাসন যদি কেউ ঠেকাতে পারে তো তিনিই পারবেন।

মঙ্গলবার তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহ তাঁর চাকদহের বাড়িতে ডেকে লক্ষ্মণের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন। ২০০৫-০৯ এবং ২০১১-১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের পর পর্যন্ত তিনি ব্লক সভাপতি ছিলেন। তাঁর তৃতীয় ইনিংস শুরু হল। লক্ষ্মণ বলেন, “দল আমাকে আবারও যোগ্য মনে করায় আমি খুশি। এ বার আবার আমি দলকে শক্তিশালী করে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব।”

নদিয়া জেলার অন্যতম দাপুটে ব্লক সভাপতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন লক্ষ্মণ। সেই সঙ্গে ঠোঁটকাটা বলেও তাঁর দুর্নাম ছিল। সেই কারণে দলের অনেকেই শেষের দিকে তাঁকে পছন্দ করতেন না। কিন্তু তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা ও ব্লকে দলের ধারাবাহিক ভাল ফলের কারণে তাঁকে কেউ ঘাঁটাতেও চাইতেন না। তৃণমূলের একাংশের দাবি, পরের দিকে কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে লক্ষ্মণের সম্পর্কের অবনতি হয়। গত পঞ্চায়েত ভোটে দলের ভিতরে লক্ষ্মণ-বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাদের সক্রিয়তায় বেশ কিছু আসনে জিতে যান নির্দল প্রার্থীরা। সেই সুযোগে তাঁকে কোণঠাসা করেন সত্যজিৎ। ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। সেই থেকে ওই ব্লকে সভাপতি ছিলেন না। গত ফেব্রুয়ারিতে খুন হওয়ার আগে পর্যন্ত সত্যজিৎই সংগঠনটা দেখতেন।

আগে কৃষ্ণনগরে এসে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মণকে ব্লক সভাপতির পদ ফিরিয়ে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু তা করা দূরের কথা, লক্ষ্মণকে যাতে ওই পদে ফেরানো না হয় তার জন্য দলনেত্রীর কাছে লিখিত আবেদনও করা হয়। সত্যজিৎ খুনের পরে কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকে তৃণমূল কার্যত অভিভাবকশূন্য পয়ে পড়ে। লোকসভা ভোটে জেলা নেতাদের হাজার অনুরোধ সত্ত্বেও লক্ষ্মণ নিষ্ক্রিয় থাকেন। তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এর পরেই লক্ষ্মণকে আবার ব্লক সভাপতি করার দাবি উঠতে থাকে। তাঁর ঘনিষ্ঠদের মতে, এ বার কৃষ্ণগঞ্জে দল ফের বিজেপির সঙ্গে টক্কর দেবে। লক্ষ্মণ বলেন, “শঙ্করদা আমায় আগেই মৌখিক ভাবে দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।’’ শঙ্কর বলেন, ‘‘লক্ষ্মণবাবু দীর্ঘ দিন ধরেই ওই ব্লকের দায়িত্বে ছিলেন। নানা কারণে তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল। দলনেত্রী তাঁকে পদে ফেরাতে বলেছেন। উনি ফেরায় আমাদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়বে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC BJP Lakhsman Ghosh Krishnaganj
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE