E-Paper

পুজোর বাজার নিয়ে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

টানা ভারী বর্ষণের কারণে কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম, বড়ঞা, কান্দি ও ভরতপুর ১ ব্লক এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর আমন ধান খেত এখনও জলে ডুবে আছে।

কৌশিক সাহা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৫ ০৯:১১
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ভারী বর্ষণ ও তার সঙ্গে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে ভারী বর্ষণের কারণে ওই রাজ্যের জলাধার থেকে লাগাতার জল ছাড়া হয়েছে। তার ফলে আমন ধানের খেত জলে ভাসছে। টানা তিন সপ্তাহ ধরে জলে ডুবে আছে কান্দি মহকুমার কয়েক হাজার হেক্টর জমির আমন ধান খেত। পুজোর মুখে এমন ভাবে ধান খেত ডুবে থাকায় এ বার পুজোর বাজার জমজমাট হওয়া নিয়ে চিন্তায় এলাকার ব্যবসায়ী মহল। যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, “পুজো বছরে এক বার আসে, তাই পুজোর কেনাকাটা করতে মানুষ বাজার মুখো হবেই।”

টানা ভারী বর্ষণের কারণে কান্দি মহকুমার খড়গ্রাম, বড়ঞা, কান্দি ও ভরতপুর ১ ব্লক এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর আমন ধান খেত এখনও জলে ডুবে আছে। ফলে কোন ভাবেই ওই ধান গাছ গুলিকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলেও দাবি এলাকার চাষিদের। কৃষি দফতর সূত্রে জানাযায় ধান গাছ এ বার অনেক আগেই রোপণ হয়েছে। কিন্তু টানা বর্ষণের কারণে সেই ধান গাছ জলে কয়েক সপ্তাহ ধরে জলে ডুবে আছে। দু’সপ্তাহ ধরে ধান গাছ জলে ডুবে থাকলে ওই ধান গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি হয়। কান্দির মহকুমাশাসক উৎকর্ষ সিংহ বলেন, “ভারী বৃষ্টির কারণে এলাকায় ঠিক কত পরিমাণ ধান খেত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেটা কৃষি দফতর খতিয়ে দেখছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বিমার আওতায় নিয়ে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

কিন্তু সামনে পুজো, আর মাত্র দেড় মাসও বাকি নেই পুজো আসতে। মূলত রথের চাকা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যায় পুজোর বাজার। এ বার প্রথম দিকে এমনটাই হয়েছিল। কিন্তু মাঝে টানা বর্ষণের কারণে বাজার কিছু দিন ঝিমিয়ে পড়ে। এ বার ফের বাজারে কেনাকাটা করতে ভিড় করছেন ক্রেতারা বলেও দাবি ব্যবসায়ীদের।

কান্দির ব্যবসায়ী মহিতোষ দত্ত বলেন, “বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের ক্রেতারা সেই ভাবে কেনাকাটা শুরু করেননি। কিন্তু শহরাঞ্চলের ক্রেতারা বিকেলের পর থেকে রাত পর্যন্ত চুটিয়ে পুজোর বাজার করছেন।” শস্যগোলা বলে পরিচিত কান্দি মহকুমা। আলুর ফলন অনেক ভাল হয়েছে, এমনকি বোরো ধানের ফলন যেমন হয়েছে চাষিরা আশানুরূপ দামও পেয়েছেন। তবে চাষি সোমনাথ ঘোষ বলেন, “ধান চাষের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে যে সমস্ত জমি নিচু এলাকায় আছে। জলে ডুবে থাকা জমির ধান আর হবে না। কিন্তু পুজোর বাজার নিয়ে চিন্তা থাকলেও পুজোর বাজার করতে হবে। ধান ভাল হলে স্বচ্ছল ভাবে হতো সেটা কিছুটা কম হবে।” কান্দি মহকুমা ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য রূপচাঁদ ধর বলেন, “আমরা আশাবাদী পুজোর আগে পর্যন্ত হলেও মানুষ বাজারমুখো হবেন।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kandi

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy