সনাতন রায়চৌধুরী।
শহরে গিয়ে করে কম্মে খাচ্ছে শুধু নয়, বাঘা বাঘা মক্কেলের হয়ে মামলা লড়ে। যখনই বাড়ি আসে, নীলবাতি লাগানো গাড়ি হাঁকিয়ে ঢোকে। এ হেন সনাতন রায়চৌধুরীকে নিয়ে কম গর্ব ছিল না পাড়ার লোকেদের। তাই তিনি ভুয়ো পরিচয় ভাঙিয়ে ঘুরে বেড়াতেন জেনে হতবাক সকলে। সনাতন লোক ঠকাতে পারেন, মেনে নিতে পারছেন না কেউই।
আদতে বহরমপুরের খাগড়া তেলঘরিয়ার বাসিন্দা সনাতন। যদিও বেশ কয়েক বছর ধরেই বরাহনগরের মণ্ডলপাড়ায় থাকছিলেন। পুলিশের অভিযোগ, কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী হওয়ার পাশাপাশি গড়িয়াহাট থানা এলাকায় সম্পত্তি কেনাবেচায় যুক্ত ছিলেন সনাতন। তাঁর নামে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করেত গেলে, হাতেনাতে ধরা পড়েন তিনি।
কিন্তু তেলঘরিয়ার বাসিন্দাদের অনেকেই এই অভিযোগ বিশ্বাস করতে পারছেন না। তাঁদের মধ্যে এক জন বলেন, ‘‘আমরা তো জানতাম উনি আইনজীবী। কিছু দিন আগেও এসেছিলেন। মা এবং খুড়তুতো বোন মারা যেতে।’’
সনাতনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি এক দিকে নিজেকে রাজ্য সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল এবং অন্য দিকে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই)-এর বিশেষ কৌঁসুলি বলেও পরিচয় দিতেন। এক জন ব্যক্তি একই সঙ্গে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের, কৌঁসুলি হন কী করে, তা নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। তাঁর নামে আগে থেকে অভিযোগও ছিল। তাই তাঁর গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছিল। রাজ্য এবং কেন্দ্র, দুই সরকারের সঙ্গেই সনাতনের কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy