Advertisement
E-Paper

ঘরে ‘বন্দি’ হয়েই কাটছে সহদেবের

রাজপথের ধারে বসে ওঁরাও জুতো সারাই করেন।

জীবন সরকার

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২০ ০১:৩৫
বাড়ির সামনে সহদেব রবিদাস। —নিজস্ব চিত্র

বাড়ির সামনে সহদেব রবিদাস। —নিজস্ব চিত্র

প্রতিদিন সকাল হলেই ধুলিয়ান বাজারের ব্যস্ত রাস্তার ধারে জিনিসপত্র নিয়ে বসে পড়তেন সহদেব রবিদাস। পথচারীদের চটি বা জুতো ছিঁড়ে গেল সকলেরই ভরসার জায়গা ‘সহদেবদা’। সারাদিন ওই কাজ করার পর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতেন তিনি। কিন্তু লকডাউনে গত প্রায় দু’মাস ঘরেই বসে কাটছে তাঁর। রোজগার হারিয়ে সহদেব বলছেন, ‘‘আরও কিছুদিন এ বাবে রোজগারহীন হয়ে বসে থাকতে হলে পরিবার নিয়ে অনাহারে মারা যাব।’’

ধুলিয়ানের কাহারপাড়ার বাসিন্দা সহদেবের মতো একই অবস্থা সন্তোষ রবিদাস, লক্ষ্মণ রবিদাস, মিঠুন রবিদাসদের। রাজপথের ধারে বসে ওঁরাও জুতো সারাই করেন। কারও আবার হাতযশ জুতো পালিশের ক্ষেত্রে। কিন্তু অফিস-কাছারি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ওঁরাও বাড়ি বসে গিয়েছেন। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সহদেব শনিবার বললেন, ‘‘কয়েক পুরুষ ধরে এই কাজ করে আসছি। রাজনৈতিক অশান্তির মধ্যেও এ ভাবে কাজ বন্ধ করে ঘরে বসে থাকতে হয়নি। দেড় মাস কোনও আয় নেই। এভাবে আর কতদিন কাটাতে হবে কে জানে!’’ সহদেব জানালেন, রেশন থেকে সরকারি ত্রাণে চাল ও আটা পেয়েছেন। কিন্তু উনুনের জন্য কয়লা কিনতে পারছেন না। ফলে সারাদিন কাঠকুটো জোগাড় করতেই কেটে যাচ্ছে তাঁর। তাঁর অভিযোগ, পাশের কয়েকটি ওয়ার্ডে পুর প্রতিনিধি বাসিন্দাদের চাল-ডাল-মাছ দিয়ে সাহায্য করলেও তাঁদের ওয়ার্ডে সে সব কিছু দেওয়া হয়নি। তবে ধুলিয়ান পুরসভার পুরপ্রধান সুবল সাহার আশ্বাস, ‘‘পুর এলাকার বাসিন্দাদের পুরসভার তরফে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। যদি কোনও পরিবারের খাবার বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হয় তাহলে তাঁরা পুরসভায় যোগাযোগ করতে পারেন।’’

coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy