Advertisement
E-Paper

কেরলে লকডাউন, বাড়িমুখো পরিযায়ী শ্রমিকেরা

অমিতাভ বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২১ ০৬:০৭
ঘরে ফেরার ভিড়। লকডাউনের পর। ফাইল চিত্র

ঘরে ফেরার ভিড়। লকডাউনের পর। ফাইল চিত্র

মাস ছয়েক আগে বাড়ি ছেড়ে কেরল গিয়েছিলেন কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় ফের বাড়িমুখো তাঁরা। শুক্রবার রাতে কেরল থেকে একই দিনে করিমপুরে পাঁচটি বাসে বাড়ি ফিরলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। করোনা আতঙ্কে তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন বলে জানান তাঁরা। বলে তাদের দাবি।

করিমপুরের একটি বেসরকারি বাসের টিকিট কাউন্টারের মালিক বিকাশ দত্ত জানান, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে কেরল থেকে বাড়ি ফেরার হিড়িক দেখা দিয়েছে। বিগত কয়েক দিন থেকে দু’টি কিংবা কোনও দিন তিনটে বাস শ্রমিকদের নিয়ে এলেও শুক্রবার রাতে একই সঙ্গে পাঁচটি বাস এসেছে।

তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গমুখী বেশির ভাগ বাস চলে আসায় কেরলে বাসের আকাল দেখা গিয়েছে। যে কারণে তাঁরা তাড়িঘড়ি বাসগুলিকে ফের কেরলে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। বিগত কয়েক দিনে প্রায় তিন থেকে চার হাজার শ্রমিক বাড়ি ফিরেছেন।

কেরল থেকে ফোনে এক পরিবহণকর্মী কিসমত মণ্ডল জানান, বাড়ি ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। শনিবার বিকেল পর্যন্ত আটটি বাস পশ্চিমবঙ্গের দিকে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পেরেছেন। গাড়িতে ওঠার আগে সকলের করোনা পরীক্ষা করিয়েই তবেই বাসে ওঠানো হচ্ছে।

কেরল থেকে ফোনে দেবরঞ্জন মণ্ডল নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘‘আমার বাড়ি নদিয়ার গোপালপুর ঘাটে। কয়েক দিন আগে শ্রমিকের কাজ করতে এসেছিলাম। কিন্তু শনিবার ও রবিবার এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যে কারণে কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। তারপরে কী হবে তা নিয়েও ভীষণ অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি। তাই বাধ্য হয়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে বাসের টিকিট কেটে ফেলেছি। করোনা পরীক্ষা করাতে বাড়তি দুশো টাকা লেগেছে।’’

এ রাজ্য থেকে কেরলের তুডুউড়া, ত্রিশূর, প্রেম্বাবাবুড়, মৈকোপূরা এলাকায় কাজ করতে যাওয়া কয়েক জনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল। সেখানে থাকা পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েক হাজার শ্রমিক বাড়ি ফিরতে চান বলে তাঁরা জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রাজু সরকার জানান, প্রেম্বাবাবুড় এলাকাতে কেক-পাউরুটি তৈরির বেকারিতে কাজ করেন। শনিবার ও রবিবার এলাকাতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি যা তাতে আগামীতে লম্বা লকডাউন হতে পারে যে কারণে বাড়ি যাওয়ার জন্য তড়িঘড়ি করোনা রিপোর্ট নিয়ে বিমানের টিকিট কেটে ফেলেছিন। তিনি বলেন, ‘‘এখন এখানে সকলকে চুপচাপ বসে থাকতে হবে। কার কোনও কাজ থাকবে না। তাই বাড়িতে ফিরে যাওয়াই ভাল বলে আমরা মনে করছি। এ ছাড়া তো আর কিছুই করার নেই।’’

COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy