প্রতীকী ছবি।
বিদ্বেষ ছড়ানো রুখতে গত সোমবারই পুলিশের সর্ব স্তরকে কড়া হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, কোনও ভাবেই এটা বরদাস্ত করা হবে না। নবদ্বীপে সোমবার রাতে এই রকমই একটি ঘটনায় এক শিক্ষকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তৎক্ষণাৎ সক্রিয় হয়ে পুলিশ ১১ জনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একাধিক ধারা জামিন অযোগ্য। কিছু মানুষ সম্প্রতি দেশপ্রেমের নামে গুণ্ডাগিরি চালাচ্ছেন। জেলা পুলিশের তরফ থেকেও এ দিন জানানো হয়েছে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে ভয় না-পেয়ে মানুষ যেন থানায় এসে অভিযোগ জানান।
নদিয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, “যদি কারও বিরুদ্ধে কোনও রকম অসহিষ্ণু আচরণের অভিযোগ পাওয়া যায় তা হলে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এই রকম আক্রমণের মুখোমুখি হলে মানুষ নির্ভয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান।” জেলাশাসক সুমিত গুপ্তও এ দিন বলেন, ‘‘পুলিশ তার মতো করে সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালাচ্ছে। যদি কেউ বিদ্বেষমূলক কোনও কিছু ঘটনানোর চেষ্টা হয় সে ক্ষেত্রে প্রশাসন চুপ করে থাকবে না।’’ ইতিবাচক দিক হল মানুষের সমবেত প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ইতিমধ্যে তা শুরু হয়েছে।
গত সোমবার এই রকম হামলা হয় নবদ্বীপ বকুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জয়দীপ ঘোষের বাড়িতে। ঘটনার পরে এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন কিছু মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ান, প্রতিবাদ করেন। জয়দীপ বাবুর বাড়ির সামনে তাঁরা জড়ো হন এবং হামলাকারীদের আটকে দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। প্রচুর মানুষের প্রশ্নের মুখে পড়ে ওই যুবকেরা কার্যত ভয় পেয়ে যান, গুটিয়ে যান। মোবাইল ফোনের ক্যামেরার সামনে থেকে মুখ লুকোতে ব্যস্ত হন। আমতা-আমতা করে দু-এক জন বলার চেষ্টা করেন, তাঁদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। তাই এসেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy