সওয়ারি: হেলমেট মাথায় শঙ্করপ্রসাদ রায়। নিজস্ব চিত্র
সাইকেল চালাতেও হেলমেট লাগে নাকি?
তেহট্টের চিলাখালি গ্রামের ডাক্তারবাবু বলছেন, ‘‘আলবত লাগে। দুর্ঘটনা কি শুধু মোটরবাইকেই হয়? চলন্ত সাইকেল থেকে পড়ে গেলে বুঝি চোট লাগে না?’’
যুক্তি অকাট্য। কিন্তু সেটা মানছে কে? হেলমেট মাথায় ডাক্তারবাবুকে সাইকেল চালাতে দেখলেই পোঁ ধরত ছেলেছোকরার দল, ‘‘ওই যে চললেন আমাদের হেলমেটবাবু।’’ উড়ে আসত টিপ্পনি, ‘‘ও বাবা, এ যে দেখছি চৈত্র সংক্রান্তির আগেই সং সেজেছে গো!’’
গত সাত বছর ধরে এমন নানা কথা শুনেছেন বছর চুয়ান্নর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক শঙ্করপ্রসাদ রায়। কিন্তু তিনি হেলমেট ছাড়েননি। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। এখন শঙ্করবাবুই গ্রামের রোল মডেল। আগে যাঁরা টিপ্পনি কাটতেন এখন তাঁদের অনেকেই বলছেন, ‘‘প্রথমে ডাক্তারবাবুকে হেলমেট মাথায় দেখে বেশ অবাক হতাম। হাসিও পেত। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, উনিই ঠিক। দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে হেলমেটটা সত্যিই জরুরি।’’ হেলমেট না পরার মাসুল দিতে হয়েছে তেহট্টের বহু লোকজনকে।
রোগী দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় ছুটতে হয় শঙ্করবাবুকে। বছর আটেক আগে তিনি একটি ব্যাটারি চালিত সাইকেল কেনেন। প্যাডেল ঘোরাতে হয় না। গতিও ভাল। কিন্তু বছর খানেক পরেই এক বার চলন্ত সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে তিনি মাথায় চোট পেয়েছিলেন। তারপর থেকে হেলমেট ছাড়া আর সাইকেলে ওঠেন না তিনি।
শঙ্করবাবুর কথায়, ‘‘বিশ্বাস করুন, ওই দুর্ঘটনা আমার চোখ খুলে দিয়েছে। দু’চাকায় যাঁরা যাতায়াত করেন তাঁদের সকলেরই হেলমেট পরা উচিত। সে কথা আমি লোকজনকেও বলি।’’ তেহট্টের এসডিপিও কার্তিক মণ্ডল বলছেন, ‘‘শঙ্করবাবুকে দেখেও কি লোকজন সচেতন হবেন না?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy