Advertisement
E-Paper

মানসিক অবসাদ, কাজের চিন্তা! গভীর রাতে ঘুমন্ত মাকে কুড়ুলের কোপ! পরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন নদিয়ার যুবক

আগুন এবং চিৎকারের শব্দ শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৩:৪৮
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কাজকারবার নিয়ে মানসিক অবসাদ এবং তার জেরে মায়ের সঙ্গে বচসা। তার পরেই গভীর রাতে ঘুমন্ত মাকে কুড়ুল দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে নদিয়ার তেহট্ট থানার বেতাই দক্ষিণ জিতপুরে ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বৃদ্ধার নাম অর্চনা দাস। অভিযোগ, বুধবার রাত ২টো নাগাদ ছেলে ফেলা দাস মা অর্চনাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার আগে সদ্য কেনা নিজের অটোতেও আগুন ধরিয়ে দেন যুবক। প্রতিবেশীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন।

আগুন এবং চিৎকারের শব্দ শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। এই মুহূর্তে সেখানেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই অভিযুক্ত যুবক কুড়ুল-সহ ট্রাফিক গার্ড অফিসে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ তাঁকে আটক করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেলার মানসিক সমস্যা রয়েছে। মাঝেমধ্যেই সে বাড়িতে ঝামেলা করতেন। সম্প্রতি তিনি একটি অটো কিনেছিলেন। কিন্তু সেই ভাবে ভাড়া না হওয়ায় তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এই নিয়ে মায়ের সঙ্গে তাঁর বচসাও হয়। প্রাথমিক অনুমান, সেই বিবাদের জেরেই মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে ছেলে মাকে খুনের চেষ্টা করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তেহট্ট থানার পুলিশ।

Nadia
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy