Advertisement
E-Paper

শপিং-পাগল প্রাক্তন প্রেমিকাকে ৩০৮ বার ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পার্সেল! গ্রেফতার নদিয়ার যুবক

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানিয়েছেন, যে তরুণীর ঠিকানায় ৩০৮টি পার্সেল পাঠিয়েছিলেন, তিনি তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা। কয়েক মাস আগে তাঁদের মনোমালিন্য হয়েছিল। তার পর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:১২
Share
Save

একটি-দু’টি নয়, পর পর ৩০৮টি ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পার্সেল পাঠিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেমিকার ঠিকানায়। পার্সেলগুলি অর্ডার দেওয়া হয়েছিল একাধিক ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যাবহার করে। সব ক’টি পার্সেল জুড়লে খরচ প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। প্রেম ভাঙতে এ ভাবেই ‘ডিজিট্যাল প্রতিশোধ’ নিলেন প্রেমিক। কলকাতার লেকটাউন থানায় এক তরুণীর দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে নদিয়ার রানাঘাট থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, একটি অনলাইন শপিং অ্যাপে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে অনেকগুলো জিনিস অর্ডার করেছিলেন জনৈক সুমন শিকদার। যে ঠিকানায় পার্সেলগুলো পাঠানো হয় সেটি সুমনের প্রাক্তন প্রেমিকার। কলকাতায় একটি জায়গায় কাজের সূত্রে দু’জনের আলাপ এবং ঘনিষ্ঠতা হয়। তবে সম্প্রতি বেশ কিছু কারণে সম্পর্ক ভেঙে যায়। তার পরেই প্রাক্তন প্রেমিকার নামে তাঁর অফিসের ঠিকানায় ৩০০-র বেশি পার্সেল পাঠান অভিযুক্ত। অন্য দিকে, ওই পার্সেল নিতে গিয়ে মাথায় হাত তরুণীর। কারণ, সব টাকা তাঁকেই দিতেই হত। তিনি এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানিয়েছেন, যে তরুণীর ঠিকানায় ৩০৮টি পার্সেল পাঠিয়েছিলেন, তিনি তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা। কয়েক মাস আগে তাঁদের মনোমালিন্য হয়েছিল। তার পর ছাড়াছাড়ি। আর কোনও যোগাযোগই রাখেননি ‘প্রেমিকা’। সুমন আরও জানান, প্রাক্তন প্রেমিকার ‘শপিং’-এর শখ খুব। সর্বদা তিনি অনলাইনে কিছু না কিছু কিনতেন। তার টাকা গুনতে হত তাঁকে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে অনেক বার প্রাক্তনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। রাগের চোটে তাই পার্সেল পাঠিয়ে প্রাক্তনকে হেনস্থা করতে চেয়েছেন।

অন্য দিকে, পুলিশের কাছে তরুণী জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরে তাঁর নামে তাঁর অফিসের ঠিকানায় একের পর এক পার্সেল আসছে। সবগুলিই ছিল ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’। অর্থাৎ টাকা দিয়ে জিনিসটি সংগ্রহ করতে হবে। প্রথমেই তাঁর সন্দেহ হয় এই কাজ প্রাক্তন প্রেমিকের। তাই প্রথমে চুপ ছিলেন। কিন্তু একটার পর একটা পার্সেল আসার পর মেজাজ হারান তিনি। তাই থানায় অভিযোগ করেন।

শুক্রবার ধৃত সুমনকে হাজির করানো হয়েছিল আদালতে। তবে সেখানে অভিযোগকারিণী প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে নেন। তবে শর্তসাপেক্ষে। তরুণী জানিয়ে দেন, তাঁর সঙ্গে যেন আর কোনও যোগাযোগ না রাখেন প্রাক্তন প্রেমিক। প্রাক্তন প্রেমিকাকে যুবকের সটান জবাব, ‘ফেসবুকে বর্তমানের সঙ্গে কোনও ছবি পোস্ট করবি না।’

arrest Crime Nadia Kolkata police Relationship

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy