হাসপাতালে জখম নাতি শুভদীপ পাল।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী, পুত্রবধূ এবং নাতির গলার নলি কেটে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। শনিবার রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের দর্জিপাড়ায়। মৃতের নাম বিপুলকান্তি পাল (৬৭)। তিনি বিদ্যুৎ দফতরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ছিলেন। স্ত্রী নন্দিতা, পুত্রবধূ সুজাতা এবং নাতি শুভদীপ পাল আশঙ্কাজনক অবস্থায় নদিয়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি।
ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন বিপুলবাবুর স্ত্রী, পুত্রবধূ, ৪ বছরের নাতি। তাঁর ছেলে শুভঙ্কর তখন পাড়ার ক্লাবে ছিলেন। ক্লাব থেকে রাতে বাড়ির সামনে এসে দরজা বন্ধ দেখে স্ত্রীকে ফোন করেন। কিন্তু তিনি ফোন তোলেননি। বেশ কয়েক বার ফোন করার পর কেউ না সাড়া দেওয়ায় একটি ঘরের জানলায় উঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করেন শুভঙ্কর। উঁকি মারতেই দেখেন ঘরের মেঝেয় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর স্ত্রী পড়ে রয়েছেন। বাবার গলা শুনতে পেয়ে ৪ বছরের ছেলে শুভদীপ ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। শুভঙ্কর পুলিশকে জানিয়েছেন, শুভদীপই দরজা খুলে দিলে তিনি ভিতরে ঢোকেন। প্রতিবেশীদের সাহায্যে মা, স্ত্রী ও ছেলেকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে বিপুলবাবু কেন এ রকম কাজ করলেন তা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারেননি শুভঙ্কর।
তবে প্রথমিক তদন্তের পর পুলিশ মনে করছে, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুভঙ্কর বেকার ছিলেন। বিপুলকান্তিবাবুর পেনশনের টাকাতেই সংসার চলত। তা নিয়েই প্রায়ই অশান্তি হত। মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন বিপুলকান্তিবাবু। সে কারণেই কি খুনের চেষ্টা, নাকি অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাথা বাদে বাকি অঙ্গ অসাড়, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy