প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের এক প্রাক্তন যুবনেতাকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করল পুলিশ। বর্তমানে সে শাসকদলের এক ছাত্র নেতার সর্বক্ষণের সঙ্গী বলে পরিচিত।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে কৃষ্ণনগরের নগেন্দ্রনগর এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল ও বোমাবাজির ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত জিৎ মণ্ডল। তার বাড়ি তাঁতিপাড়া এলাকায়। রবিবার রাতে তাহেরপুরে এক বন্ধু বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে জেরা করে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। তার সঙ্গেই বাবন ঘোষ নামে আনন্দময়ী এলাকার এক যুবককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করা হলে তাদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়েই নগেন্দ্রনগর দুটি ক্লাবের মধ্যে বিবাদের জেরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পরে তা রাজনৈতিক আকার নিতে থাকে। এক দিকে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পলাশ দাস ও তাঁর অনুগামীদের নাম জড়াতে থাকে। অন্য দিকে নাম জড়ায় ওই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা, টিএমসিপি-র নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সম্রাট পাল ও তাঁর লোকজনের। দিন কয়েক আগে দুই পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষের দু’জনকে আহত অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, সেই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে আবার অশান্তি শুরু হয়। বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি বোমাবাজিও তলে। পুলিশ ওই রাতেই চার জনকে গ্রেফতার করেছিল।
তৃণমূল সূত্রেই জানা গিয়েছে, জিৎ মন্ডল কিছু দিন আগেও কৃষ্ণনগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি ছিল। পদ হারিয়ে সে টিএমসিপি-র কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সম্রাট পালের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। সম্প্রতি প্রায় সব জায়গাতেই তাকে সম্রাটের পাশে দেখা যেত। শুক্রবার রাতে সে দলবল নিয়ে পলাশ দাসের এক ঘনিষ্ঠের বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। এর পর এলাকায় বোমাবাজি শুরু হয়। পরে বেশ কিছু তাজা বোমাও ঘটনাস্থল উদ্ধার করে পুলিশ। তার পর থেকেই ফেরার ছিল জিৎ।
আপাতত জিৎ মণ্ডলকে কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টায় নেমে পড়েছেন তৃণমূলের যুব ও ছাত্র নেতারা। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কৃষ্ণনগর শহর সভাপতি কৌশিক মজুমদার বলেন, “নানা কারণে আমরা আগেই জিৎ মণ্ডলকে ওয়ার্ড সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছি। সে এখন আমাদের কেউ নয়। এখন বরং ছাত্রনেতা সম্রাট পালের সঙ্গেই সব সময়ে তাকে দেখা যায়।” যদিও সম্রাট পালের দাবি, “জিৎ আমার সংগঠনের কেউ নয়। আমার সঙ্গে তো অনেকেই ছবি তোলে। তারা কি সবাই আমার লোক?” তাঁর দাবি, “যারা অভিযোগ করছে, তাদের সঙ্গেই বরং জিৎ মণ্ডলের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ আমার কাছে আছি। আমায় এ ভাবে ফাঁসানো যাবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy