পরিযায়ী শ্রমিক। —ফাইল চিত্র।
পরিযায়ী শ্রমিকের কথা উঠলে চলে আসে মুর্শিদাবাদের নাম। পরিযায়ী শ্রমিক আর মুর্শিদাবাদ এক প্রকার সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য তো বটেই, বিদেশেও পাড়ি দেন মুর্শিদাবাদের পরিযায়ী শ্রমিকেরা। কখনও কখনও বিদেশ বিভুঁইয়ে গিয়ে তাঁরা নানা কারণে বিপাকে পড়েন। সৌদি আরব-সহ কয়েকটি দেশে কাজে গিয়ে মুর্শিদাবাদের প্রায় ৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিক নানা কারণে আটকে রয়েছেন।
তাঁদের কেউ জেলবন্দি তো কেউ নিখোঁজ, কেউ বা টাকার অভাবে দেশে ফিরতে পারছেন না।
পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে বিদেশ মন্ত্রকে অভিযোগ জানানো হলেও তাঁরা এখনও দেশে ফিরতে পারেননি। পরিবারের লোকজন তাঁদের দেশে ফেরানোর জন্য আবেদন জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
আবার অশালীন কাজের অভিযোগে বেলডাঙার ৮ জন শ্রমিককে অর্ধনগ্ন করে ঘোরানোর অভিযোগ উঠেছে প়ড়শি রাজ্য ওড়িশায়। বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশার সুন্দরগড় শহরের মিশন রোডে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে। ওই আট জন শ্রমিকের মধ্যে এক জনের বিরুদ্ধে মহিলাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
তবে মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের কাছে বিদেশে আটকে থাকার অভিযোগ এলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরে দ্রুত জানাই। এর পরে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর বিদেশ মন্ত্রকে জানায়। এ ভাবে বিভিন্ন সময়ে অনেককে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে ওড়িশার ঘটনা নিয়ে এখনও আমাদের কেউ কিছু জানায়নি।’’
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কাজ করা বহরমপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার মতিউর রহমান জানান, এই মূহূর্তে মুর্শিদাবাদের প্রায় ৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিক সৌদি আরব, মালোয়েশিয়া, দুবাই, মায়ানমারে আটকে রয়েছে। পরিবারের কাছে থেকে জানার পরে তাঁদের দিয়ে অনলাইনে বিদেশ মন্ত্রকের যেমন আবেদন করানো হয়েছে, তেমনই জেলা প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। কিন্তু নানা জটিলতায় তাঁরা এখনও দেশে ফিরতে পারেননি।
বেঙ্গল লেবার ইউনিয়নের সম্পাদক তথা ভগবানগোলার বাসিন্দা দুলাল শেখ বলেন, ‘‘আমাদের জেলার কয়েক লক্ষ মানুষ পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে ভিন রাজ্যে কাজে যান, নানা সামগ্রী নিয়ে ফেরি করতে যান। কিন্তু ভিন রাজ্যে নানা অজুহাত তুলে তাঁদের অনেককে হেনস্থা করা হয়। কয়েক মাস আগেই জঙ্গিপুর মহকুমার বেশ কিছু ফেরিওয়ালাকে ওড়িশায় বেধড়ক মারধর করেছিল। দেশের বৈধ নাগরিক হলেও তাঁদের বাংলাদেশি অভিহিত করে মারধর করা হয়েছিল। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy