Advertisement
০৮ মে ২০২৪
WB Panchayat Election 2023

সাগরদিঘি মডেল নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

সাম্প্রতিক সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম, কংগ্রেস জোট গড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের বিরুদ্ধে এক হয়ে সংঘবদ্ধ লড়াইয়েই এসেছিল সাগরদিঘি মডেলের সাফল্য।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২৩ ০৮:০২
Share: Save:

পঞ্চায়েতে মুর্শিদাবাদেই প্রশ্নের মুখে পড়ল সাগরদিঘি মডেল!

একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী তো কোন ছাড়, পঞ্চায়েতের তিন স্তরে ৬৪১৯টি পঞ্চায়েত আসনে ৯৮৫৬ জন কংগ্রেস ও বাম প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেওয়ায় সাগরদিঘির জোট মডেল অস্বস্তিতে ফেলেছে সিপিএম ও কংগ্রেস দুই দলকেই।

সাম্প্রতিক সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম, কংগ্রেস জোট গড়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের বিরুদ্ধে এক হয়ে সংঘবদ্ধ লড়াইয়েই এসেছিল সাগরদিঘি মডেলের সাফল্য। আর এই সাফল্যকে সামনে রেখেই বিরোধীদের সামনে গোটা রাজ্যেই ‘রোল মডেল’ হয়ে উঠেছিল সাগরদিঘি। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। মডেলের সাফল্যকে তিন মাসও ধরে রাখতে পারেনি বিরোধীরা। যাকে ঘিরে এই মডেল গড়ে উঠেছিল, সেই কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস ইতিমধ্যেই তৃণমূলে। এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাগরদিঘিতে তৃণমূল অন্তত ৭০ শতাংশ প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে বাইরনের সুপারিশ মেনেই। তাই পঞ্চায়েতে প্রশ্ন উঠেছে, সেই সাগরদিঘি মডেলকে কি ফের বিরোধী বাম ও কংগ্রেসের পক্ষে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব? জেলা পরিষদে ৭৮টি আসন রয়েছে মুর্শিদাবাদে। সেই ৭৮ আসনে শাসক দল তৃণমূলের প্রার্থী ৯৬। পাল্টা বিরোধী প্রার্থীর সংখ্যা কংগ্রেস ১০৭ ও সিপিএম ৬৩। এরপরেও রয়েছে আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক। মোট ১৭৪ অর্থাৎ দ্বিগুণেরও বেশি।

পঞ্চায়েত সমিতিতে ৭৪৮টি আসন। কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ৮৫৩টি। সিপিএম ও বাম শরিকদের প্রার্থী ৫৯০। অর্থাৎ ১৪৪৩, প্রায় দ্বিগুণ। গ্রাম পঞ্চায়েতে অবস্থা আরও ভয়াবহ। ৫৫৯৩টি আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন ৪৮৬১ জন। সিপিএমের প্রার্থী সংখ্যা ৩২৯৮ ও ফব-র ৮০ জন। সব মিলিয়ে ৫৫৯৩ আসনের জন্য বিরোধী প্রার্থীর সংখ্যা ৮২৩৯। এ ছাড়াও ১২৮০ জন নির্দলের ৯০ শতাংশই শাসক দল তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ। প্রায় ৪ হাজার বাড়তি প্রার্থী নিয়ে সাগরদিঘি মডেলের রূপায়ণ শেষ পর্যন্ত সম্ভব কি না বিরোধী রাজনীতিতে সেটাই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে সাগরদিঘি মডেলকে।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা অবশ্য বলছেন, “জোট বেঁধে অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নাম সাগরদিঘি মডেল। তিন দিনের মধ্যেই একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী চূড়ান্ত করেই লড়ব আমরা নির্বাচনে।সাগরদিঘি মডেলেই জোট হবে। ২০ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।” কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত দাস বলছেন, “বহু প্রার্থী উৎসাহী হয়ে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। লড়াইয়ের মানসিকতা বেড়েছে। ঠিক সময়ে দল হস্তক্ষেপ করবে। একের বিরুদ্ধে এক জোট করেই লড়াই হবে। বাড়তি প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলে নেবেন। নাম না তুলে নিলে দলের সঙ্গে তাদের সংশ্রব থাকবে না।”

জঙ্গিপুরের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান বলছেন, “ভোটের একটাই মডেল। মমতা মডেল।” বাইরন বলছেন, “সাগরদিঘি মডেলে আমি জিতেছি এটা মানি না। কংগ্রেস, সিপিএম ও তৃণমূলের বহু ভোট আমি পেয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE