তৈরি হয়েও পড়ে রয়েছে বাজার ভবন। —নিজস্ব চিত্র
ভবন তৈরি হয়েছে। রঙও করা হয়েছে। বিদ্যুতের সংযোগ, শৌচাগার, এমনকী পানীয় জলের ব্যবস্থাও রয়েছে। নেই শুধু ব্যবসায়ী ও খরিদ্দার।
বড়ঞা ব্লকের ডাকবাংলা বাজারের জেলা পরিষদের বাজার ভবনটি প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভবন তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। কিন্তু বাজার এখনও চালু হয়নি।
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ ২০০৭ সালে বড়ঞার ডাকবাংলোয় নিজস্ব জমিতে বাজার ভবন তৈরির কাজ শুরু করে। বছর পাঁচেক আগে ভবনের কাজ শেষ হয়। ওই ভবনে ১৪টি ঘর আছে। সঙ্গে দু’টি কনফারেন্স হল। বিদ্যুতের সংযোগ এসেছে বছর তিনেক হল। একটি বাজার ভবনের প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছুই আছে। কিন্তু তারপরেও ওই বাজারটি জেলা পরিষদ কেন খুলছে তা বুঝতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
বাজারে সব মিলিয়ে প্রায় আড়াইশো দোকান রয়েছে। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করেন। কেউ আবার পূর্ত দফতরের জমিতে দোকান পেতেছেন। তাই নোটিস পেলে উঠে যাওয়ার ভয় রয়েছে তাঁদের। সেক্ষেত্রে জেলা পরিষদের ঘরগুলো পেলে সুবিধে হত বলে জানান তাঁরা।
ওই বাজারের ব্যবসায়ী মেহেরাজ শেখ বলেন, “পূর্ত দফতরের জমির উপর দোকান। সব সময় ভয় থেকেই যায় এই বুঝি জমি ছাড়ার নোটিস আসছে। জেলা পরিষদ বাজার ভবনটিতে ঘর পেলে সে ভয় থাকত না। কেন যে তা চালু হচ্ছে না সেটাই বুঝতে পারছি না।’’
দোকানঘর ভাড়া ঘরে ব্যবসা করছে কাপড় ব্যবসায়ী সঞ্জয় জৈন। তিনি বলেন, “জেলা পরিষদ যখন ভবন তৈরির কাজে হাত দিল ভেবেছিলাম একটা স্থায়ী ঠিকানা পাব। কিন্তু পাঁচ বছর ধরে বাজার ভবনটি নির্মাণ হয়ে পড়ে আছে। চালু হচ্ছে না।
ডাকবাংল মোড়ে দোকান রয়েছে ভুলু শেখের। তিনি বলেন, ‘‘ কবে থেকে শুনছি বাজার ভবন খোলা হবে। কিন্তু খোলা আর হয় না। ভবন তৈরি করে এ ভাবে ফেলে রাখার কী মানে বুঝি না।’’
বড়ঞা ব্লকের বড় বাজারগুলির একটি ডাকবাংলা বাজার। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে কয়েক কোটি টাকার লেনদেন হয়। খুচরো বাজারের পাশাপাশি পাইকারী বাজারও বসে।
ডাকবাংলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক আব্দুল আজিজ জানান, জেলা পরিষদ ভবনটি চালু করার জন্য দু’বার নোটিস দিয়েছিল। কিন্তু তাতে নিয়মের কিছুটা জটিল ছিল। এককালীন দশ বছরের ভাড়া অগ্রিম জমা দেওয়ার কথা বলায় অনেক ইচ্ছুক ব্যবসায়ী তা নিতে পারেননি।
ওই নিয়মের সরলীকরণ করে ভবনটি চালু করার আর্জি জানান হয়েছে। কিন্তু জেলা পরিষদ এখন আর নতুন করে কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি।
ওই ভবনের সামনে অস্থায়ী শৌচক্রিয়া করার জায়গা তৈরি হয়েছে। ওই ভবনের জন্য শৌচাগার করা হয়েছে সেই শৌচাগার দখল করে তৈরি হয়েছে তেলেভাজার দোকান।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের বৈদ্যনাথ দাস বলেন, “জেলার দুই জায়গায় বাজার ভবন রয়েছে। কিন্তু তা চালু করা যায়নি। জেলা পরিষদের ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে। স্থায়ী সমিতি গঠন হলেই ওই ভবন সাধারণ ব্যবসায়ীদের জন্য তা খুলে দেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy