পুজোর ছুটির আগে ঘটা করে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে বিভিন্ন স্কুলে মিড-ডে মিলের রান্না করা খাবারের গুণগত মান ঠিক আছে কি না, খতিয়ে দেখেছিলেন প্রশাসনিক কর্তারা। গাফিলতি দেখে শতাধিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে শো-কজও করা হয়েছিল। এ দিকে, পুজোর ছুটির পরে চাল না পেয়ে লালবাগের বেশ কয়েকটি স্কুলে বন্ধ রয়েছে মিড-ডে মিল।
জেলা, মহকুমা কিংবা ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, বিষয়য়টি তাঁদের জানা নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি, তাঁরা পুজোর ছুটির আগে থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরের লোকজনকে বিষয়টি জানিয়েছেন। এমনকী, ২৩ অক্টোবর স্কুল খোলার পরেও বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু চাল আসেনি।
চাল না পেয়ে মিড-ডে মিলের রান্না বন্ধ থাকায় লালবাগ এমএমসি গার্লস হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ টিফিনে পাউরুটি ও কলা দিয়েছেন পড়ুয়াদের। চালের সঙ্কট মেটাতে লালবাগের সিংঘী হাইস্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে দু’টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুল কর্তৃপক্ষ পাঁচ কুইন্টাল চাল ধার নিয়ে পুজোর আগে মিড-ডে মিলের রান্না চালিয়েছে। এখন সিংঘী হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ ফের চাল ধার দিতে নারাজ। প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব ঘোষ বলছেন, ‘‘আমাদেরও চাল বাড়ন্ত। ফলে চাল ধার দিলে আমরা চালাব কী করে?’’
লালবাগ কুর্মীটোলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, জুলাই মাসে মিড-ডে মিলের চাল পেয়েছেন। তা ছুটির আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তার পরেই বিষয়টি লালবাগের মহকুমাশাসকের দফতরে জানানো হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁরা চাল না পাওয়ায় মিড-ডে মিলের রান্না বন্ধ রাখতে হয়েছে। লালবাগ এমএমসি গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অজন্তা ঘোষ বলেন, ‘‘মিড-ডে মিল বন্ধ। ছাত্রীরা কি না খেয়ে থাকবে? তাই তাদের রুটি ও কলা দেওয়া হচ্ছে।’’ বন্ধ রয়েছে লালবাগের নতুনগ্রাম হাইস্কুলের মিড-ডে মিলও। মিড-ডে মিলের জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুগত মাইতি বলেন, ‘‘বিষয়টি জানা নেই। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগও করেননি।’’ মুর্শিদাবাদ পুরসভার অধীনে থাকা মিড-ডে মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা লালবাগ মহকুমাশাসক তোপডেন লামা জানান, লালবাগ এমএমসি গার্লসের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। সেখানে দ্রুত চাল পাঠানোর চেষ্টাও চলছে। মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের বিডিও মহম্মদ রহমত আলি বলেন, ‘‘কোনও স্কুলে চালের অভাবে মিড-ডে মিল বন্ধ রয়েছে, এমনটা তো জানা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy