Advertisement
০২ মে ২০২৪
Bratya Basu

‘বাইরে থেকে নেতা এলে হাতে হুঁকো খাইয়ে দিন’, নদিয়ায় নড্ডার পাল্টা সভা থেকে খোঁচা ব্রাত্যের

নড্ডার সভা বনাম ব্রাত্যদের সভার জমায়েত নিয়েও উঠেছে দাবি এবং পাল্টা দাবি। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সভা যে মাঠে হয়েছিল, তার থেকে শনিবারের সভার মাঠ অনেক বড়।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:২৭
Share: Save:

দু’দিন আগে নদিয়ার বেথুয়াডহরিতে সভা করে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। শনিবার সেই জেসিএম হাই স্কুলের মাঠেই পাল্টা সভা করল তৃণমূল। সেখানে নাম না করে নড্ডাকে খোঁচা দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বক্তৃতায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রসঙ্গ টেনে ব্রাত্য বলেন, ‘‘কৃষ্ণনগর যাঁর নামে, সেই রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বাবা তাঁর সব সম্পত্তি ভাইকে লিখে দিয়েছিলেন। কাকাকে তামুক খাইয়ে সেই সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র। বাইরে থেকে বিজেপি নেতারা এলেও কৃষ্ণচন্দ্রের মতো তাঁদের হুঁকো খাইয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিন।’’

ব্রাত্যের সঙ্গে ওই সভায় ছিলেন তৃণমূলের দুই সাংসদ আবু তাহের খান এবং মহুয়া মৈত্র। ব্রাত্যের এই ‘বহিরাগত’ মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘রাজ্যের মন্ত্রী কি তামাকজাত দ্রব্যের প্রচার করছেন? তাঁর মতো একজন দায়িত্বশীল মানুষের এ রকম মন্তব্য করা উচিত নয়।’’

একই ভাবে নড্ডার সভা বনাম ব্রাত্যদের সভার জমায়েত নিয়েও উঠেছে দাবি এবং পাল্টা দাবি। তৃণমূল বলছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সভা যে মাঠে হয়েছিল, তার থেকে শনিবারের সভার মাঠ অনেক বড়। নড্ডার সভায় মেরে কেটে ৬,০০০ লোক হয়েছিল। কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ প্রশাসনেরও অনুমান করেছে ৬-৭ হাজার মানুষই হয়েছে। ওই সভাকে ছাপিয়ে গিয়েছে ব্রাত্য, মহুয়ার সভার জমায়েত। জেলা প্রশাসনের হিসেব বলছে শনিবারের সভায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ছিলেন।

ছোট মাঠের বেশির ভাগ অংশ ব্যারিকেড করেও কেন নড্ডার সভায় মাঠ ভরানো গেল না, তা নিয়ে জেলা বিজেপির অন্দরে চর্চা চলছে। তবে বিজেপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যে তা এড়িয়ে তুলে আনছে ভোট সাফল্যের কথা। নাকাশিপাড়া ব্লকে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি তুলনামূলক ভাল ফল করে। ওই ব্লকের ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৫টিতে একক ভাবে দখল করে। ২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্যদের সঙ্গে জোট করে বোর্ড গড়ে। যদিও পরে সব ক’টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি ধরে রাখতে পারেনি।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও একমাত্র বিল্বগ্রাম ছাড়া বাকি চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভোট কমলেও বিজেপিই এখানে এগিয়ে থেকেছে। বিজেপির জেলা সভাপতির এই দাবিকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসে মন্তব্য, ‘‘লোক ভরাতে না পেরে রসবোধও হারিয়ে ফেলেছে বিজেপি। আগামী পঞ্চায়েত ভোটেই বিজেপি এখানে নির্মূল হয়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bratya Basu J P Nadda bjp tmc clash Nadia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE