দোকানে ঝাঁপ ফেলে দুই কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন এক ব্যবসায়ী। মাঝপথে তাঁদের মারধর করে লক্ষাধিক টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেল একদল দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার রাতে হরিণঘাটার মুড়াগাছার ঘটনা। দুষ্কৃতীদের মারে গুরুতর জখম হয়েছেন একজন। ঘটনার পর এলাকার লোকজন আতঙ্কিত। কারণ ওই রাস্তা দিয়ে রাতবিরেতে অনেককেই বাড়ি ফিরতে হয়। পুলিশের দাবি, তারা দুষ্কৃতীদলের সদস্যদের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করছে। যদিও বুধবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কারও টিকি ছুতে পারেনি।
হরিণঘাটার জাগুলিতে সুদীপ্ত রায়ের বিলিতি মদের দোকান রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তাঁর ভাই সুমন্ত রায় দোকানে ছিলেন। রাত সওয়া ১০টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে সুমন্তবাবু ও দোকানের দুই কর্মী—অসীম বাগ এবং অমল দাস মোটরবাইকে চেপে তাঁদের বিরহীর বাড়িতে ফিরছিলেন। সুমন্তবাবু জানিয়েছেন, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে লরির ভিড় ছিল। ফলে তিনি ধীর গতিতে মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন। একটি মোটরবাইক এবং একটি স্কুটারের কয়েকজন সওয়ারি তাঁদের পিছু নেয়। কল্যাণী মোড় পার হওয়ার পর আরও একটি মোটরবাইক তাঁদের পিছু নেয়। সেই মোটরবাইকটি তাঁদের টপকে যায়। তারপরই পিছনের মোটরবাইক ও স্কুটারের সওয়ারিরা তাঁদের ধরে ফেলে। দুষ্কৃতীদের একজন রিভলভার বের করে তাঁদের উপর চড়াও হয়। সুমন্তবাবুকে মারধর করতে শুরু করে ওই দুষ্কৃতীরা। সুমন্তবাবুর কাছ থেকে টাকার থলে কেড়ে নিতে গেলে বাধা দেন দোকানের কর্মী অসীমবাবু। এক দুষ্কৃতী রিভলভারের বাট দিয়ে তাঁর মাথায় মারে। মাথা ফেটে যায়। এই সময় সুমন্তবাবুর টাকার ব্যাগটি নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। ওই দুষ্কৃতীরা সুমন্তবাবুর মোটরবাইকের চাবিটিও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। জখম সুমন্তবাবু পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ এসে তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পুলিশের ধারণা, দুষ্কৃতীরা বেশ কয়েকদিন ধরেই সুমন্তবাবুদের গতিবিধির উপর নজর রেখেছিল। টাকার থলে নিয়ে সুমন্তবাবুরা যে বাড়ি ফিরতেন দুষ্কৃতীরা তা জানত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy