একশো দিনের কাজের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে পঞ্চায়েত দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার বড়ঞার কল্যাণপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতে মোট আটটি আসনের মধ্যে সিপিএম সাতটি ও তৃণমূল একটি আসনে জয়ী হয়। সিপিএমের সনিয়া মাড্ডিকে প্রধান করে সিপিএম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ওই পঞ্চায়েতে প্রধান কোনও দিনই আসেন না। সমস্ত কাজকর্ম দেখাশোনা করে ওই পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সিপিএমের শুভেন্দু পাল। মাস চারেক আগে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কুনিয়া গ্রামে একটি পুকুর খননের কাজ হয় একশো দিনের কাজের মাধ্যমে। কাজের জন্য প্রায় সাড়ে ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়।
পঞ্চায়েত সূত্রে খবর ওই পুকুর খননের কাজ প্রায় দু’মাস ধরে হয়। প্রায় ২২ লক্ষ টাকার কাজ হয়। কিন্তু পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ওই কাজ যারা করেছে তাদের সম্পূর্ণ টাকা এখনও ব্যাঙ্ক বা ডাকঘরের অ্যাকাউন্টে দেননি বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা নিমাই বাগদি ও শেফালি বাগদিরা বলেন, “প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকার কাজ করেছি। কিন্তু টাকা পেয়েছি মাত্র দু’হাজার। বাকি টাকা দেওয়ার জন্য বারবার পঞ্চায়েতে আসছি কিন্তু উপ-প্রধান কোনও সদুত্তর দিচ্ছে না।” স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই পুকুর খননের কাজে লক্ষ লক্ষ টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে বিডিওর কাছে অভিযোগও জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও উপ-প্রধান শুভেন্দু পাল বলেন, “একশো দিনের কাজের টাকা নয়ছয় করার কোনও উপায় পঞ্চায়েতের নেই। যারা কাজ তাদেরকেই ওই টাকা দেওয়া হয় অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। ভিত্তিহীন অভিযোগ।” যদিও বড়ঞা বিডিও রুডেন শেরিং লামা বলেন, “একশো দিনের কাজের দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছি। আমি তদন্ত করে দেখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy