E-Paper

জ্বর নিয়ে শিশুদের সংখ্যা বৃদ্ধি মেডিক্যালে

সর্দি, জ্বর সমস্যায় ভুগছে পাঁচ বছরের কম বয়সের এমন শিশুদের নিয়ে তাদের অভিভাবকেরা বেশি আসছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।

মনোদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:১৭
বুধবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে শিশুদের সংখ্যা ছিল পাঁচশোর বেশি।

বুধবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে শিশুদের সংখ্যা ছিল পাঁচশোর বেশি। - প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

শীতের মরসুমে জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসছেন নানা প্রান্তের রোগীরা। সর্দি, জ্বর সমস্যায় ভুগছে পাঁচ বছরের কম বয়সের এমন শিশুদের নিয়ে তাদের অভিভাবকেরা বেশি আসছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। আবার শীতের মরসুমে বয়স্করা অনেকেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান। বুধবার বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যাও ছিল যথেষ্ট। শিশুদের সংখ্যা ছিল পাঁচশোর বেশি। যাদের অধিকাংশই সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত। বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসা বড়দের সংখ্যা ছিল এ দিন প্রায় দু’শোর বেশি। মঙ্গলবার বহির্বিভাগে শিশুদের সংখ্যা চারশোরও বেশি ছিল বলে খবর। ওই দিনও বহির্বিভাগে বড়দের সংখ্যা ছিল দু’শোর অধিক। বর্তমানে হাসপাতালে কুড়ির অধিক শিশু ভর্তি রয়েছে সর্দি, কাশি, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বলে হাসপাতালে সূত্রে জানা গিয়েছে।

হরিহরপাড়া থেকে এসেছেন সিদ্দিক শেখ। তাঁর ১১ মাসের শিশুকে নিয়ে চিকিৎসা করাতে। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে আমার শিশুটির ঠান্ডা লেগেছে। জ্বরে ভুগছে। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করালাম। চিকিৎসক কিছু ওষুধ দিয়েছেন।’’ এমএসভিপি অনাদি রায় চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এখন ঠান্ডায় সর্দি-কাশি, জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে তাঁদের অভিভাবকেরা চিকিৎসার জন্য আসছেন। আমরা যথাযথ চিকিৎসা করে তাদের সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছি। পাঁচ বছরের নীচে যে সমস্ত শিশুরা রয়েছে তাদের অনেক সময় জ্বরের সাথে খিঁচুনিও হয়। তবে যে সমস্ত শিশুরা ভর্তি রয়েছে, তাদের বয়স এক থেকে বারো বছরের মধ্যে।’’ তিনি বলেন, ‘‘বড়রা এই মরসুমে হৃদরোগে, ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় বেশি। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা শীতকালে বেশি থাকে। অনিয়মিত ভাবে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেলে, তাঁদেরও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রায় প্রতিদিনই জেলার নানা প্রান্ত থেকে এমন রোগীরা আমাদের হাসপাতালে এসে ভর্তি হচ্ছেন। আর এই মরসুমে বড়রাও অনেকেই জ্বর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন।’’

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ বলেন, ‘‘আমাদের কাছে শিশু অথবা বড় যারা চিকিৎসার জন্য এসেছেন, আমরা চেষ্টা করছি তাঁদের চিকিৎসা করে সুস্থ করে তোলার। আমাদের এখান থেকে খুব কম রোগী কলকাতায় স্থানান্তরিত হয়। ডায়ালিসিসও চালু রয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Fever Hospital

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy