বহিরদ্বীপে গঙ্গার পাড়ে রোদ পোহাচ্ছে কুমির। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য
আবারও ভাগীরথীর নদীতে কুমিরের দেখা মিলল। সোমবার সকালে ধুবুলিয়ার বহিরদ্বীপ এলাকায় নদীর চরে একটি কুমিরকে রোদ পোহাতে দেখেন স্থানীয় মৎসজীবীরা। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। খবর দেওয়া হয় বন দফতরকে। বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। বন দফতরের কর্তাদের দাবি, এই কুমির থেকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ফলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে সকলকে দূরত্ব রাখতে বলা হয়েছে।
কয়েক মাস আগে নদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভাগীরথীতে নদীতে বারবার কুমিরের দেখা মিলছিল। যা নিয়ে রীতিমত আতঙ্ক ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত বন দফতর কুমিরটিকে উদ্ধার করে মালদহ জেলায় নিয়ে গিয়ে ফের নদীতে ছেড়ে দেয়। সেই কুমিরটিকেও দেখা গিয়েছিল এই বহিরদ্বীপের কাছেই বলাইনগর এলাকায়। শুধু তাই নয়, এই এলাকারই উল্টো দিকে জনবহুল এলাকায় একটি কুমির ঢুকে রীতিমত চরে বেড়ায়। বারবার একই এলাকায় কুমিরের দেখা মেলায় অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা কেনারাম ঘোষ বলেন, “যেখানে কুমিরটা শুয়েছিল তার কাছেই স্নানের ঘাট। সবাই খুব আতঙ্কে আছে। স্নান করতে গিয়ে যদি কেউ কুমিরের শিকার হয় সেই ভয়ে অনেকেই ঘাটে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।”
যদিও বন দফতরের কর্তাদের দাবি, এই কুমিরের জন্য আতঙ্কিত হওয়া বা ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। শুধু দূরত্ব বজায় রাখলেই হবে। কারণ হিসাবে তাঁরা বলছেন, ভাগীরথীর এই এলাকা কুমিরের স্বাভাবিক বিচরণ ক্ষেত্র। আর এই কুমিরগুলো মাগার (mugger) বা ফ্রেশ ওয়াটার ক্রোকোডাইল। এই ধরনের কুমির সাধারণত মাছ খায় বলে জানিয়েছেন নদিয়া-মুর্শিদাবাদ ডিভিশনের অতিরিক্ত বনাধিকারিক সায়ক দত্ত। তিনি বলেন, “আমরা গিয়ে দেখে এসেছি। অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। শুধু কুমিরের থেকে দূরত্ব রক্ষা করলেই চলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy