Advertisement
E-Paper

তৃণমূলের দুই  গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গ্রেফতার এক

তৃণমূল সূত্রের দাবি, হরিণঘাটা ব্লকে সাংগঠনিক রদবদলের পর থেকে দুই শিবির আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে। এক দিকে হরিণঘাটা ব্লকের সভাপতি নারায়ণচন্দ্র দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩ ০৯:৫৯
গ্রেফতার এক ব্যক্তি।

গ্রেফতার এক ব্যক্তি। প্রতীকী চিত্র।

তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারির জেরে বুধবার হরিণঘাটায় গ্রেফতার হল এক জন। দুই পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফতেপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে দয়লায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের সামনে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারি বাধে। উভয় পক্ষের বেশ কয়েক জন আহত হন। তাঁদের কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি।

তৃণমূল সূত্রের দাবি, হরিণঘাটা ব্লকে সাংগঠনিক রদবদলের পর থেকে দুই শিবির আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে। এক দিকে হরিণঘাটা ব্লকের সভাপতি নারায়ণচন্দ্র দাস। তিনি রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অন্য দিকে আছেন হরিণঘাটা ব্লকের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি, বর্তমান জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ চঞ্চল দেবনাথ। দেবাশীষ এবং নারায়ণ দু'জনেই এক সময়ে চঞ্চলের ছায়াসঙ্গী হয়ে থাকলেও এখন দূরত্ব তৈরি হয়েছে। দেবাশীষ অবশ্য গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মধ্যে কখনও সামনে আসেন না।

চঞ্চল শিবিরের অভিযোগ, তাদের ব্রাত্য করে রাখা হচ্ছে। দলীয় কাজকর্মেও ঠিকঠাক ভাবে যোগাযোগ করা হচ্ছে না। তবে বিরোধী শিবিরের পাল্টা অভিযোগ, চঞ্চল শিবিরের লোকজনকে দলীয় কাজকর্মে ডাকা হলেও তাঁরা সাড়া দেন না।

সম্প্রতি ফতেপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে অঞ্চল কমিটির সভাপতি করা হয়েছে সফিক মণ্ডলকে। তাঁকে নিয়ে চঞ্চল শিবিরের লোকজন সরব হয়েছেন। স্কুলশিক্ষক সফিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হরিণঘাটা এলাকায় তিনি অবৈধ ভাবে মাটির কারবার চালায়। তাঁকে অঞ্চল সভাপতি হিসাবে মানতে চাননি চঞ্চল শিবিরের লোকজন। কিন্তু দেবাশীষ ও নারায়ণ দাসদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সফিক। যদিও দলের দায়িত্বে থাকা এক নেতার দাবি, দায়িত্ব পাওয়ার পর সফিক এ সব কাজের সঙ্গে যুক্ত নেই। সফিকের দাবি, “আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”

মঙ্গলবারের ঘটনায় যার বিরুদ্ধে নারায়ণ শিবিরের মূল অভিযোগ, চঞ্চল শিবিরের সেই রশিদ শেখ আসলে দুষ্কৃতী। তিনি লোকজন নিয়ে ফতেপুর পঞ্চায়েতের বৈকারা গ্রামে নানা অসামাজিক কাজকর্ম করে বেড়ান। তবে রশিদের দাবি, “এ সব অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।”

উল্টে নারায়ণ শিবিরের অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকালে ফতেপুরের দয়লায় দলীয় কার্যালয়ে অঞ্চল সভাপতি সফিক মণ্ডলকে বাঁশ-লাঠি নিয়ে আক্রমণ করেন রশিদ ও তাঁর সঙ্গে আসা লোকজন। সফিকরাও পাল্টা দেয়। আবার চঞ্চল শিবিরের অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সফিকের দলবলই আক্রমণ করেছিল।

বুধবার নারায়ণ দাবি করেন, “এটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয় নয়। ফতেপুর অঞ্চল সভাপতিকে কয়েকজন দুষ্কৃতী আক্রমণ করে।” দেবাশীষের দাবি, “কোনও গোষ্ঠী নেই। কোনও দ্বন্দ্বও নেই।” চঞ্চল গোটা বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Internal clash TMC haringhata
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy