E-Paper

বহির্বিভাগ বন্ধ, জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা

রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে এ দিন সকালে বহির্বিভাগের দরজা খোলা হলেও চিকিৎসকেরা কেউই সেখানে যাননি।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৪ ০৯:২৫
আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে আউট ডোরে বসলেন না কোনো চিকিৎসক। সদর হাসপাতালে। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে।

আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে আউট ডোরে বসলেন না কোনো চিকিৎসক। সদর হাসপাতালে। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। ছবি : সুদীপ ভট্টাচার্য।

কর্মবিরতির জেরে বন্ধ রইল বহির্বিভাগ। তবে চিকিৎসা পরিষেবা চালু রইল জরুরি বিভাগে। সেখান থেকে রোগীদের যাবতীয় পরিষেবা দিলেন চিকিৎসকেরা। জেলা হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল বা স্টেট জেনারেল হাসপাতাল— সর্বত্র ছবিটা ছিল কমবেশি এ রকমই।

কৃষ্ণনগরের জেলা সদর হাসপাতালে সুপারের ঘরের সামনে শনিবার আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন চিকিৎসকেরা। শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল এবং জেলা সদর হাসপাতালে শনিবার কর্মবিরতির জেরে বহির্বিভাগ ছিল বন্ধ। সেখানে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। তবে জরুরি বিভাগ চালু ছিল। সেখানে হাজির ছিলেন চিকিৎসকেরা। রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা তাঁরা সেখানেই দিয়েছেন। শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালেও জরুরি বিভাগ থেকে যাবতীয় পরিষেবা পেয়েছেন রোগীরা। ফুলিয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা ছিল সচল। চিকিৎসকেরা হাজির ছিলেন। আইএমএ-র কৃষ্ণনগর শাখার সভাপতি ডা অনির্বাণ জানা বলেন, ‘‘আমরা চাইছি শুধু চিকিৎসক নয় সার্বিক ভাবে মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। সে জন্য আমাদের প্রতিবাদী আন্দোলন। সাধারণ মানুষও আমাদের সমর্থন জানিয়ে গিয়েছেন।’’

রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে এ দিন সকালে বহির্বিভাগের দরজা খোলা হলেও চিকিৎসকেরা কেউই সেখানে যাননি। অনেক রোগীকে এ দিন দেখা গিয়েছে, বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাবেন বলে টিকিট কেটেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁদের অনেকেই জরুরি বিভাগ থেকে পরিষেবা দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতাল সুপার প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, ‘‘রোগীদের সমস্যায় ফেলা কখনই আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বহির্বিভাগ বন্ধ থাকলেও সকালের দিকে জরুরি বিভাগে মোট ছয় জন চিকিৎসক ছিলেন। তাঁরা বহির্বিভাগে আসার রোগীদের চিকিৎসা করেছেন। এমনকি বহির্বিভাগে চিকিৎসার পর হাসপাতালে তরফে যে ওষুধ দেওয়া হয়, তা-ও এ দিন স্বাভাবিক ছিল।" অন্য দিকে, চিকিৎসক পড়ুয়াদের কর্মবিরতির জেরে কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও এ দিন বহির্বিভাগ বন্ধ ছিল। তবে জরুরি বিভাগে দিনভর রোগীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। হাতে গোনা কয়েক জন রোগীকে সেখানে ভর্তি নেওয়া হয়। সার্বিক ভাবে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরে রানাঘাট ও কল্যাণী দুই শহরেই বেশির ভাগ চিকিৎসকেরা চেম্বারে বসেননি।

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে চিকিৎসকদের কর্মবিরতির প্রভাব পড়েছে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। এ দিন আউটডোর পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। হয়নি রোগীদের অনলাইন টিকিট। এ দিন হাসপাতালে এসেছেন তাঁদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকেরা চিকিৎসা করেছেন। চিকিৎসকদের ডাকা কর্মবিরতির প্রভাব চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালের তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। এ দিন হাসপাতালের বহির্বিভাগ খোলা ছিল। তবে, অন্য দিনের তুলনায় চিকিৎসক কম ছিলেন বলে রোগীদের কয়েক জন জানিয়েছেন। হাসপাতালের সুপার সর্বানন্দ মধু বলেন, ‘‘এ দিন হাসপাতালের বহির্বিভাগ খোলা ছিল। বেশ কিছু রোগী এসেছিলেন। তাঁদের চিকিৎসা করানো হয়েছে। কেউ ফিরে যাননি।’’ এ দিন করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ ছিল। তবে অন্যান্য পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। চিকিৎসায় হয়রানি নিয়ে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অন্য দিকে, নতিডাঙা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আউটডোর পরিষেবা থেকে শুরু করে অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Krishnanagar R G Kar Medical College and Hospital

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy