Advertisement
E-Paper

মঞ্চে বসবে কে? বিতর্ক তুঙ্গে

সরকারি অনুষ্ঠান। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত ও দূরশিক্ষার জন্য তৈরি নতুন ভবনের উদ্বোধন। মঞ্চে অভ্যাগতদের বসার জায়গা। কিন্তু, যাঁর উদ্বোধন করার কথা, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই অনুপস্থিত। তা হলে সেই মঞ্চে বসবেন কে? তা নিয়েই বুধবার বিস্তর গোলমাল বাঁধল বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৪৭

সরকারি অনুষ্ঠান। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত ও দূরশিক্ষার জন্য তৈরি নতুন ভবনের উদ্বোধন। মঞ্চে অভ্যাগতদের বসার জায়গা। কিন্তু, যাঁর উদ্বোধন করার কথা, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই অনুপস্থিত। তা হলে সেই মঞ্চে বসবেন কে? তা নিয়েই বুধবার বিস্তর গোলমাল বাঁধল বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে। কোনও রকমে তখনকার মতো গোলমাল সামাল দেওয়া গেলেও, বিষয়টি নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে শিক্ষক মহলে।

সোমবার যখন জানা যায় পার্থবাবু আসছেন না, তখন ঠিক হয় উদ্বোধন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য মলয়েন্দু সাহা। কিন্তু, মঞ্চে কারা বসবেন?

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুভাষ সরকার জানান, তিনি এবং উপাচার্যই মঞ্চে থাকবেন। তখন কয়েকজন শিক্ষক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (ইসি) জনা তিনেক সদস্য সভাগৃহে রয়েছেন। তাঁদের মঞ্চে ডাকা হোক। নাকচ করে দেন সুভাষবাবু।

ইসি সদস্য, অধ্যাপক গৌতম পাল প্রশ্ন করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কোনও নিয়ম কি আছে, যেখানে লেখা রয়েছে, কারা মঞ্চে বসবেন, কারা বসতে পারবেন না? শিক্ষকরা জানিয়েছেন, এই সময় সুভাষবাবু বলেন, ‘‘আমি যা বলব, তাই হবে।’’ অপমানিত গৌতমবাবু মঞ্চ থেকে নেমে আসেন।

এই ঝামেলা যখন চলছে, তখন সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, পড়ুয়ারা রয়েছেন। বলতে গেলে এমন ঘটনায় সকলেই অস্বস্তিতে পড়ে যান। সেই সময় উপাচার্য সুভাষবাবুকে বলেন গৌতমবাবুকে মঞ্চে ডেকে নিতে। সুভাষবাবু ডাকলেও মঞ্চে ওঠেননি গৌতমবাবু।

এ বার আসরে নামেন উপাচার্য। তিনি গৌতমবাবুকে মঞ্চে ডাকেন। প্রথমে রাজিই হননি তিনি। কিন্তু উপাচার্য বার বার ডাকলে গৌতমবাবু জানান, মঞ্চে সকলের নাম লেখা রয়েছে। তিনি কোথায় বসবেন? উপাচার্য বলেন, ‘‘আমি সবার নাম লেখা কাগজ সরিয়ে ফেলছি আপনি আসুন।’’ তিনি তা করেনও। কিন্তু, সুভাষবাবু নিজের নাম লেখা কাগজ সরাননি। যদিও উপাচার্যের অনুরোধে গৌতমবাবু মঞ্চে ওঠেন।

সুভাষবাবু আগে সিপিএমের লোকাল কমিটির সদস্য ছিলেন। গৌতমবাবু অবশ্য সুভাষবাবুর অনেক আগেই সিপিএম থেকে তৃণমূলে এসেছেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল শিক্ষা সেলের সভাপতি। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষকদের মধ্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া হয়েছে। অনেকেই বলছেন, সবার সামনে এমন ঘটনা না ঘটাই উচিৎ ছিল। কোনও বিতর্কিত ঘটনা ঘটলে উপাচার্য সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে চলেন। এক্ষেত্রেও মলয়েন্দুবাবুকে বারবার ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি।

partha chattopadhyay
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy