দলীয় দফতরের সামনে বিজেপি কর্মীরা। রানাঘাটে। নিজস্ব চিত্র
গেরুয়া শিবিরের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এল। রানাঘাটে বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা দফতরের সামনেই ক্ষোভ দেখালেন দলের নেতাকর্মীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, জেলা নেতৃত্ব নিজেদের ইচ্ছা মতো নানা জায়গায় মণ্ডল সভাপতি বদল করছেন। এটা তাঁদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
এর আগেও দক্ষিণ নদিয়ায় বিজেপির ঘরোয়া কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। জগন্নাথ সরকার জেলা সভাপতি থাকার সময়েও তাঁর সঙ্গে বিরোধী শিবিরের ঝগড়া সামনে এসেছে। তিনি সাংসদ হওয়ার পরে তাঁকে সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়। তবে বিবাদ চলছেই। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে জয়ের পরেও তাতে বিরাম নেই। জগন্নাথের পরে তাঁর বিরোধী বলে পরিচিত মানবেন্দ্রনাথ রায়কে নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি করা হয়েছিল। কয়েক মাস দফতরের মধ্যেই তাঁকে নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় রাজ্য নেতৃত্ব দু’জনকে বহিষ্কারও করেন।
পরে মণ্ডল সভাপতি পদে নির্বাচন নিয়েও দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। ফুলিয়ায় জগন্নাথ-শিবিরের বলে পরিচিত দলের এক মণ্ডল সভাপতিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোরও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে। গত ডিসেম্বরে ফের দলের জেলা সভাপতি বদল হয়। মানবেন্দ্রনাথ রায়কে সরিয়ে জেলা সভাপতি করা হয় জগন্নাথ-ঘনিষ্ঠ অশোক চক্রবর্তীকে।
এর পরেই কয়েক জায়গায় দলের মণ্ডল সভাপতিও বদল করা হয়। কৃষ্ণগঞ্জেও একাধিক মণ্ডল সভাপতি বদল নিয়ে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে চিঠি দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক। গত মাসখানেকের মধ্যে শান্তিপুরেও দু’বার একটি মণ্ডলের সভাপতি বদল করা হয়েছে। সম্প্রতি আরও কয়েক জায়গায় মণ্ডল সভাপতি বদল করা হয়। তবে দলের একাংশ এতে ক্ষোভ গোপন রাখেননি। তাঁদের দাবি, দলের একাংশকে কার্যত অন্ধকারে রেখেই এই পরিবর্তন করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার দলের নেতাকর্মীদের একাংশ জেলা দফতরে যান। সেখানে জেলা নেতাদের নিয়ে একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য নেতা সঞ্জয় সিংহ। তাঁর সামনেই নিজেদের অসন্তোষের কথা জানান তাঁরা। পরে অবশ্য সঞ্জয় কর্মীদের ক্ষোভের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ক্ষুব্ধ কর্মীদের একাংশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে দলের কাজ করে আসা পুরনো কর্মীদের বঞ্চনা করা হচ্ছে। দলের সবার সঙ্গে কথা না বলেই মণ্ডল কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। পরে তাঁরা জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন। উত্তেজিত কর্মীদের একাংশ চেঁচামেচিও করেন। তবে বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, যা কিছু রদবদল হচ্ছে তা দলের সাংগঠনিক নিয়ম মেনেই হচ্ছে। নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তী বলেন, “বিক্ষোভ কিছু হয়নি। দলেরই কিছু কর্মী এসেছিলেন নিজেদের কথা জানাতে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy