Advertisement
E-Paper

সিসিইউ-তে বিশেষজ্ঞ  নেই, দুর্ভোগে রোগীরা

তিন বছরেও প্রশিক্ষিত চিকিৎসক জোগাড় করতে পারেনি কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)। অ-প্রশিক্ষিত মেডিক্যাল অফিসার দিয়েই চলছে দশ শয্যার ওই  ইউনিট।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৮ ০৩:০২

তিন বছরেও প্রশিক্ষিত চিকিৎসক জোগাড় করতে পারেনি কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)। অ-প্রশিক্ষিত মেডিক্যাল অফিসার দিয়েই চলছে দশ শয্যার ওই ইউনিট।

স্বাস্থ্য কর্তারা স্বীকার করছেন, বিশেষ ভাবে সিসিইউ পরিষেবায় প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ছাড়া প্রত্যাশিত চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব নয়, কিন্তু সেই চিকিৎসকই মিলছে না। ফলে, ঠেকনা দিয়ে চালাতে হচ্ছে। এক সময় মেডিসিন বিভাগের এক শিক্ষক-চিকিৎসক ও তার পরে এক বক্ষ চিকিৎসক ওই বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। সিসিইউ-য়ের কাজে প্রশিক্ষণযুক্ত চিকিৎসক নিয়োগের জন্য একাধিক বার উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছেন হাসপাতালর কর্তারা, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

হাসপাতালের সুপার সুবিকাশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘সমস্যা রয়েছে। বছর আটেক আগে মহকুমা হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজ হওয়ার পর নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর চব্বিশ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, হুগলি থেকে রোগীরা এখানে ভিড় করেন। অনেকেই জটিল সমস্যা নিয়ে আসেন। সেই রোগীরা সিসিইউ-তে সঠিক পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠছে। কিন্তু আমরা অসহায়।’’ ডাক্তারের অভাবে চব্বিশ ঘণ্টা সিসিইউ-তে চিকিৎসকের নজরদারিও থাকছে না। কোনও রোগীর অবস্থার অবনতির হলে নার্স খবর দিচ্ছেন। তবে মেডিক্যাল অফিসারেরা আসছেন। সিসিইউতে কাজ করার জন্য চিকিৎসকদের ছয় সপ্তাহের প্রশিক্ষণ জরুরি। ওই প্রশিক্ষণে তাঁদের অক্সিজেন থেরাপি, ভেন্টিলেশন, ইনফেকশন কন্ট্রোল প্রোটোকল, রোগী এবং যন্ত্রের যে কোনও সমস্যা দ্রুত ধরতে পারার কৌশলও শেখানো হয়। ওই কোর্স শেষ করার পরে কোনও চিকিৎসককে সিসিইউ-এর দায়িত্ব দেওয়ার কথা। কারণ, অতি জটিল শারীরিক সমস্যা নিয়ে রোগীরা সেখানে ভর্তি হন। প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ছাড়া জোড়াতালি দিয়ে পরিষেবা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ওই হাসপাতালে।

মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে থাকার কথা ৮ চিকিৎসকের। কিন্তু ছ’জন চিকিৎসক রয়েছেন। এ দিকে, রোগীর চাপ থাকায় ১২ বেডের সিসিইউ-এর জায়গায় ১৬ বেড করার কথা ভেবেছেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে চিকিৎসক কম থাকায় এখন শয্যা বাড়ানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার প্রভাসচন্দ্র মৃধা।

CCU Doctor Patient
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy