Advertisement
E-Paper

৬৫২ বছরের পুরনো রটন্তীকালী পুজোর ভোগে ‘পালো পিঠে’ ও ‘খেরোড়’, উৎসাহী কান্দির মানুষ

এই পুজোয় বিশেষত্ব হচ্ছে দেবী মুণ্ডমালিনীকে পালো পিঠে এবং খেড়োর তরকারি দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। এমনকি, শীতকালে যে সব সব্জি বাজারে দুর্লভ, সেই সব্জিগুলিও থাকে পুজোর ভোগে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:২৭
An image of Ratanti Kali Puja

রটন্তীকালী। —নিজস্ব চিত্র।

রটন্তীকালী পুজোর চল আনুমানিক প্রায় ৬৫০ বছর আগে শুরু হয়েছিল। কথিত আছে, সদাশিব ঘোষাল নামের এক পরিব্রাজক সন্ন্যাসী মেদিনীপুর থেকে মুর্শিদাবাদের কান্দিতে মাঘ মাসের চতুর্দশী তিথিতে রটন্তীকালী পুজোর প্রচলন করেছিলেন। সে সময়ে ঘন অরণ্যে ঘেরা ছিল কান্দির ছাতনাকান্দি এলাকা। এখন এই এলাকা ঘনবসতিতে পরিণত হয়েছে। তবে, আজও সিদ্ধান্ত পরিবারে এই রটন্তীকালী পুজো হয় আড়ম্বরে।

এই পুজোয় বিশেষত্ব হচ্ছে দেবী মুণ্ডমালিনীকে পালো পিঠে এবং খেড়োর তরকারি দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। এমনকি, শীতকালে যে সব সব্জি বাজারে দুর্লভ, সেই সব্জিগুলিও পুজোর ভোগে থাকে।

রটন্তীকালী পুজোয় বলিদানের রীতি রয়েছে এবং এখানে দেবীকে তন্ত্রমতে পুজো করা হয়। একরাত্রি পুজোর পরের দিন সকালে স্থানীয় একটি পুকুরে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। তার পর আবারও এক বছরের অপেক্ষায় থাকেন সিদ্ধান্ত পরিবারের সদস্যরা। শুধু সিদ্ধান্ত পরিবারই নয়, এই রটন্তীকালী পুজোয় ছাতিনাকান্দির বাসিন্দাদের আবেগও ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে।

Kandi Murshidabad Kali Puja
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy