অনেক আগেই এনআইএ-র ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ তালিকায় নাম উঠেছিল তার। কিন্তু এতদিন পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল জালনোটের কারবারি বিয়ল শেখ। কিন্তু এত করেও শেষরক্ষা হল না।
শুক্রবার রাতে সীমান্ত লাগোয়া মালদহের বৈষ্ণবনগরের দৌলতপুর থেকে জালনোট নিয়ে গঙ্গা পেরিয়ে সমসেরগঞ্জে ঢুকছিল বিয়ল। এনআইএ’র থেকে সে খবর পেয়ে সমসেরগঞ্জ থানার পুলিশ ওত পাতে। রাত দেড়টা নাগাদ ধুলিয়ান ফেরিঘাটে দিয়ে নৌকো থেকে নামতেই তাকে পুলিশ ঘিরে ফেলে। তল্লাশি চলিয়ে তার থেকে প্রায় আট লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার করে।
প্রায় বছর খানেক ধরে বিয়লকে খুঁজছিল এনআইএ। মালদহ ও মুর্শিদাবাদে জালনোটের অন্যতম প্রধান চাঁই বিয়লকে ধরতে তার বাড়িতেও বার কয়েক হানা দেন এনআইএ’র অফিসারেরা। কিন্তু তার হদিশ মেলেনি।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর মে মাসে বৈষ্ণবনগরে প্রায় সাড়ে ৬৪ লক্ষ জালনোট উদ্ধার করে বিএসএফ। ধরা পড়ে দৌলতপুরের বরকত আলি নামে এক যুবক। তার দুই সঙ্গী রিঙ্কু শেখ ও ডালিম শেখ গা ঢাকা দেয়। সীমান্তে একলপ্তে এত বিপুল পরিমাণ জাল টাকা মেলায় নড়ে চড়ে বসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও। তাদের নির্দেশে এক মাসের মধ্যে মামলার তদন্তভার রাজ্য পুলিশের কাছে থেকে হাতে তুলে নেয় এনআইএ।
পাঁচ মাসের মধ্যে ধৃত বরকতের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় এনআইএ। তারপর সমসেরগঞ্জ ও বৈষ্ণবনগরে একের এক অভিযান চালিয়ে বরকতের সঙ্গী ডালিম শেখকে ধরে এনআইএ। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সমশেরগঞ্জের ডাকবাংলোয় ধরা পড়ে ইসলাম ওরফে আনিকুল শেখ ও সালিম শেখ।
ইতিমধ্যে কলকাতায় এনআইএ’র বিশেষ আদালতে এনআইএ’র দ্বিতীয় চার্জশিটে জালনোট কারবারে জড়িত ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। চার জন ধরা পড়লেও বাকি ছয় জন এখনও পলাতক। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৪৮৯বি, ৪৮৯সি, ১২০বি ছাড়াও ইউএপি (আন ল ফুল অ্যাক্টিভিটিজ) আইনের ১৬, ১৮ ও ২০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। সেই তালিকায় নাম রয়েছে বিয়ল শেখের। আদালতও তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেছে। সেই থেকে হন্যে হয়ে বিয়লকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন এনআইএ’র আধিকারিকেরা।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন বিয়লের থেকে যে জালনোট উদ্ধার হয়েছে সেই মামলায় তাকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এরপরে এনআইএ’র মামলায় যেহেতু তার নামে পলাতক দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে তাই পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে তাকে এনআইএ’র হাতে তুলে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy