আগেকার সেই প্রেসক্রিপশন। এখন যা বদলে গিয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
এমবিবিএস না হওয়া সত্ত্বেও প্রেসক্রিপশনে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ লিখে পুলিশ-প্রশাসনের নজরে পড়েছেন এক আয়ুর্বেদিক ডাক্তার। এত দিন তাঁর প্যাডে ‘জেনারেল ফিজিশিয়ান’ও লেখা ছিল। ভুয়ো ডাক্তার নিয়ে রাজ্য জু়ড়ে ধড়পাকড় শুরু হতে তিনি নতুন প্যাড ছাপান। তাতে ওই শব্দবন্ধ বাদ দেওয়া হয়েছে।
শান্তিপুরের ওই চিকিৎসকের নাম পার্থজিৎ রায়। বাড়ি রায়পাড়ায়। তাঁর প্রেসক্রিপশনের খবর পেয়ে সোমবার তাঁকে শান্তিপুর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশের দাবি, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হয়েও এত দিন অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করে আসার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে প্রেসক্রিপশন বা কোনও বিজ্ঞাপনে যেহেতু তিনি ‘এমবিবিএস’ বা অন্য অ্যালোপ্যাথি ডিগ্রি লেখেননি, তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করতে পারেন কি না, তা জানতে চেয়ে আইএমএ-র কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। উত্তর পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
এর আগে হাঁসখালি, চাপড়া, চাকদহে কয়েক জন ‘ভুয়ো ডাক্তার’ গ্রেফতার হয়েছেন। এঁদের কেউ-কেউ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক হয়েও প্যাডে ও সাইনবোর্ডে নিজেকে ‘এমবিবিএস’ বলে দাবি করেছিলেন। তবে সকলেই অ্যালোপ্যাথি ওষুধ দিতেন। পার্থজিৎ অবশ্য দাবি করছেন, ‘‘অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করে কোনও ভুল করিনি। আইএমসিসি অ্যাক্ট অনুযায়ী আমরা আধুনিক ওষুধ ব্যবহার করতে পারি। এ নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফেও কোনও নির্দেশিকা পাইনি।”
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস রায় অবশ্য বলেন, “ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন না থাকলে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা কেউ করতে পারেন না।” শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, “উনি যে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ দেন তা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy