নবদ্বীপের নন্দীপাড়ায় নমিতা সাহার খুনের ঘটনায় আত্মসমর্পণকারী অর্ণব চক্রবর্তীকে আদালতের অনুমতিতে হেফাজতে নিল পুলিশ।
গত ৩ মার্চ নবদ্বীপে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন অর্ণব চক্রবর্তী নামের ওই যুবক। আদালত ওই যুবকের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বুধবার ফের নবদ্বীপের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নীলম শশী কুজুরের আদালতে হাজির করা হয় অর্ণবকে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানালে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন। নবদ্বীপ আদালতের সরকারি আইনজীবী নবেন্দু মণ্ডল জানান, “তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে পুলিশ এ দিন হেফাজতে চেয়ে ছিল। বিচারক দশ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।”
অর্ণবের আইনজীবী শুভ্রসূচি মুখোপাধ্যায় বলেন, “তদন্তের প্রয়োজনে পুলিশ হেফাজত চেয়েছে। আমরা আদালতের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছি, অর্ণব নিজেই আত্মসমর্পণ করেছে। তদন্তে সহযোগিতাও করবে। তাঁর উপর কোনও রকম অত্যাচার যেন না করা হয়।”
গত ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে নবদ্বীপ নন্দীপাড়ায় নিজের শোওয়ার ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় পঁয়ষট্টি বছরের নমিতা সাহার মৃতদেহ। মৃতার দাদা অমলেন্দু সাহা ওই দিনই পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ পত্রে একমাত্র অর্ণব চক্রবর্তী ওরফে বুড়োর নামই ছিল।
যদিও ঘটনার দশ দিন পরে অর্ণবের আত্মসমর্পণে প্রশ্ন ওঠে, সত্যিই কি সে অপরাধী? কারণ পাড়া-প্রতিবেশি অনেকেই বলেন, অন্য কাউকে আড়াল করতে অর্ণবকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হল। অর্ণবের আইনজীবী শুভ্রশুচি মুখোপাধ্যায়ও সে দিন বলেন, “একটা নিরীহ পরিবারের উপর যে পুলিশি চাপ আসছিল, তাতে অর্ণবের বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। সে জন্যই আত্মসমর্পণ। আইনই এই মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্তি দেবে।”
অমলেন্দুবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অর্ণবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy